কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাঁশের মোথা তোলাকে কেন্দ্র করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন আলী (১৫) নামে এক কিশোর আপন খালাতো চাচার হাতে খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সোহাগ বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাধবপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে নিহত সুমনের পিতার খালাতো ভাই আল আমিন (২৫) ও আলিম (২৩) বাঁশবাগানে মোথা তুলতে থাকে। এ সময় সাদুল্লার ছেলে সুমন আলী (১৫) তাদের বাধা দিতে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সুমনকে তারা শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। গুরুতর আহত সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে সে হাসপাতালে মারা যায়।
সুমনের পিতা মো. সাদুল্লা বলেন, রোববার দুপুরে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখি, বাড়ির পাশে বাঁশবাগানের মধ্যে হট্টগোল হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার আপন খালাতো ভাই আলামিন, আলিম ও তার সহযোগীরা আমার বাঁশবাগানে মোথা তুলছে। আমার ছেলে সুমন তাদের মোথা উঠাতে নিষেধ করে। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি ঠেকাইতে গেলে আমাকেও মারধর করে।
পরে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সুমনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার সকাল ৯টায় সুমন মারা যায়।
ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, নিহতের ভাই সোহাগ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন