গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশন ও রাজেন্দ্রপুর রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী বন খড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেললে ইঞ্জিনসহ সাত বগি লাইনচ্যুত হয়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে রেলওয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছেন।
সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইমাম আলী রেজার নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। নাশকতাকারীরা রেললাইনের ২০ ফুট কেটে ফেলায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয় বলে মনে করছেন পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রেলওয়ে বিভাগের। এ ঘটনায় রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির গাজীপুর-৬৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ হিরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বনখড়িয়া এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ রেললাইনের মেরামত কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে বলাকা কমিউটার ট্রেন মেরামত করা রেললাইন অতিক্রম করেছে। এর আগে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেন ওই স্থান অতিক্রম করে ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শামীমা ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল হয়ে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ লাইনে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ৩টি ট্রেন চলাচল করেছে। ঢাকা থেকে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ৬টা ৪০ মিনিটে, বলাকা কমিউটার ৭টা ৫মিনিটে ও দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ৮টা ১২ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থল হয়ে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে শ্রীপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-ঢাকা রেল সড়কের ৬০০ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী দল রেললাইন মেরামত অংশগ্রহণ করেন। তাদের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। রেল চলাচল চালু করা হলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি বগি ও ইঞ্জিন রেল সড়কের দুপাশে পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় এক রেলযাত্রী নিহত হন।
মন্তব্য করুন