হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে তা টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। বাজারে দুইশ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে। এর মাঝে সুখবর হচ্ছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
পাইকারি ও খুচরা দুভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় এখানে। সরেজমিনে জানা যায়, ভোর ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই বাজারে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫০-২০০ মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়। পুরো পৌষ মাসজুড়ে এখানে পাতাসহ পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াশার কারণে যমুনার চরাঞ্চলের অধিকাংশ চাষিরা আগের দিন বিকাল থেকেই পেঁয়াজ নিয়ে চলে আসে, এ ছাড়া মধ্যে রাত থেকেও অনেকে আসে। চরভরুয়া, চরসোনামুই, কবলিবাড়ি, নরপাড়া রাধানাগর, বাশুরিয়া, পঞ্চাশী, কেরামজানি, রামাইলের চর, খাসবালিয়াবান্না এসব অঞ্চলের পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয় এখানে।
পেঁয়াজ চাষি আনিসুর রহমান বলেন, বিঘাপ্রতি অন্তত ৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, এতে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা মণ বিক্রি করা যায়। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তাই কাঁচা পেঁয়াজে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
সোনামুই হাটের ইজারাদার আক্তার হোসেন জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, ধনবাড়ি, মধুপুর, কালিহাতী অঞ্চলের পাইকাররা এখানে কাঁচা পেঁয়াজ ও অন্যান্য কাঁচামাল কিনতে আসেন। প্রতিদিন অন্তত ২০০ মণ পেঁয়াজ আমদানি হয় এখানে।
ঝাওয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান তালুকদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সোনামুই বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা মনিটর ও দেখভাল করা হয়। এলাকার কৃষকরা পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, উপজেলার ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে, গতবারের চাইতে এবারের ফলন বেশি। পাতাসহ কাঁচা পেঁয়াজ সোনামুই, ভেঙ্গুলা ও মুশুর্দি বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন