তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরাজগঞ্জের পথে পথে বিক্রি হচ্ছে লাল-সবুজের পতাকা

লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করছেন মাহাবুবুর রহমান। ছবিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে তোলা। ছবি : কালবেলা
লাল-সবুজের পতাকা বিক্রি করছেন মাহাবুবুর রহমান। ছবিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে তোলা। ছবি : কালবেলা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পথে পথে বিক্রি হচ্ছে লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই শহর থেকে গ্রামে হাটবাজারে দেখা মেলে পতাকা বিক্রেতাদের। নানা আকারের পতাকা এবং লোগো সংবলিত মাথায়, হাতে বাঁধার ব্যান্ড। মাঝে মাঝে সামান্য মৃদু বাতাসে উড়ছে লাল-সবুজের রঙে আঁকা এসব কাপড়। আর এসব দেখে দেশ প্রেমে বিবেককে জাগ্রত করে ছুটে আসেছেন শিশু-কিশোর ও কিশোরীসহ নানা বয়সের মানুষ। আবার অনেকে কিনে নিয়েও যাচ্ছেন। বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, রিকশায় এমনকি দুই চাকার মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের সামনে দুলছে স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা। এই লাল সবুজ দোলার মাঝে আছে এক অন্য সৌন্দর্য, আছে অহংকারের গল্প।

সোমবার সকালে উপজেলার পরিষদ মিলায়তন চত্বরে পতাকা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৬ ফুটের পতাকা প্রতি পিচ ২২০ টাকা, ৫ ফুট ১৭০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ১৪০ টাকা, আড়াই ফুট ৭০ টাকা, দেড় ফুট ৪৫ টাকা আর ১ ফুট ২৫ টাকা এবং ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০টা। প্রতিদিন এক একজনে ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করে থাকেন।

এ দিকে প্রতিদিন প্রায় ১০ ফুট লম্বা একটি কঞ্চিই বাঁশের সাথে বড় ছোট আকারের পতাকা নিয়ে হরহামশায় ঘুরে বেড়ায় গ্রাম থেকে গ্রামে। কাঁধে ঝোলানো রয়েছে পতাকা ভর্তি ব্যাগ। আর মৃদু বাতাসে পতাকাগুলো উড়ছে। সারা দিন ঘুরে পতাকা বিক্রি করে তেমন বেশি লাভ না হলেও গর্ববোধ করেন মো. মাহাবুর রহমান (৩৪)। পেশায় ফেরিওয়ালা হলেও বিজয়ের মাসে তার পরিচয় ভিন্ন, বিজয়ের মাসে তিনি লাল-সবুজ পতাকার ফেরিওয়ালা নামেই পরিচিত। সারা বছর তিনি নানা রকম পণ্য ফেরি করে বিক্রি করলেও ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে তিনি ফেরি করে পতাকা বিক্রি করে স্বপ্ন বুনছেন।

আরেক পতাকা বিক্রেতা সাজেদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম না হলেও পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জেনেছি। মাত্র ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। লাল-সবুজের এই পতাকা অর্জনের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার মতো নয়। এই বিজয় নিশান কাঁধে নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। ছোট-বড় সকলেই পতাকা কিনছেন।

পতাকা ক্রেতা লুৎফর রহমান জানান, তার মেয়ের জন্য একটি পতাকা, ফিতা ও ব্যান্ড কিনেছেন ৭০ টাকায়।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশেদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর বিজয়ের মাসে এসব বিক্রেতাদের কাছ থেকে পতাকা কিনতে দেখে আমরা গর্বিত হই। এদের কাছ থেকে কিনে ছোট ছোট বাচ্চারা যখন ছোট পতাকা হাতে কিংবা মাথায় ব্যান্ড আকারে লাগায় তখন এসব বাচ্চাদের দেখে আমাদের বুকটা গর্বে ভরে যায়। তবে পতাকার সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কফি হাউজে মদ্যপ তরুণীর তাণ্ডব

অ্যাডহক কমিটি পেল ৯ ক্রীড়া ফেডারেশন

বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে উপাচার্যের পিএস নিয়োগ

সাবেক এমপিকে আটক করল স্থানীয়রা, এরপর যা ঘটল

৭৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ যুবদলের কর্মী সভায় অনুষ্ঠিত

খুলনায় পাটের গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা

চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ

আদালতে আ.লীগের ১৭ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর

কুবি সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান

১০

৭ ওভারের ঝড়ে বিধ্বস্ত পাকিস্তান

১১

জবি ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

১২

রামপুরায় হঠাৎ রাস্তার পাশের দেয়ালধস, শিশুর মৃত্যু

১৩

বঙ্গবন্ধুর নাম পাল্টে লেখা হলো ‘নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়’

১৪

এমবাপ্পেকে নিয়ে ফ্রান্স দলে অশান্তি

১৫

তেল কম দিল ফিলিং স্টেশন, অতঃপর...

১৬

‘গণবিপ্লবের মহানায়ক ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির’

১৭

সাফজয়ীদের পুরস্কৃত করল সাউথইস্ট ব্যাংক

১৮

পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে তালিকা করছেন ট্রাম্প

১৯

‘৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই’

২০
X