পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসা সহকারী সুপার পদে নিয়োগের অভিযোগ

মঠখোলা মাওলানা সেকান্দর আলী দাখিল মাদ্রাসা। ছবি : কালবেলা
মঠখোলা মাওলানা সেকান্দর আলী দাখিল মাদ্রাসা। ছবি : কালবেলা

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় একটি মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে সাত লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে পছন্দের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপার এবিএম অলিউল্লাহর বিরুদ্ধে।

উপজেলার মঠখোলা মাওলানা সেকান্দর আলী দাখিল মাদ্রাসায় এ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই মাদ্রাসার ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম।

মাদ্রাসা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওই মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এলাকায় শিক্ষা আলো ছড়িয়ে আসছে। ইদানিং মাদ্রাসার সহকারী সুপারের শূন্যপদে নিয়োগ দিতে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই পদে মোট ৬ জন আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করেন। পরে গত শুক্রবার মাদ্রাসার কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই পদে মাদ্রাসার সুপার এবিএম অলি উল্লাহ সাত লাখ টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে নিয়োগ প্রদান করতে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সহকারী সুপার পদে নিয়োগের জন্য সুপার সাহেব আমার কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। এ জন্য তিনি আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা অগ্রীম নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাকে নিয়োগ না দিয়ে তিনি সাত লাখ টাকার বিনিময়ে মাসুদ করিম নামের অপর এক প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিরপেক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার এবিএম অলি উল্লাহ বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগে কোন উৎকোচ নেওয়া হয়নি। ডিজির প্রতিনিধি ও সভাপতিসহ সবাই নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থেকে যোগ্য ব্যক্তিকেই নিয়োগ দিয়েছেন। রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ বলেন, নিয়োগটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ফেয়ার হয়েছে। এতে কোনো রকম সন্দেহ নেই। যিনি এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি তো ইন্টারভিউ বোর্ডেই উপস্থিত হননি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন্নাহার মাকসুদা বলেন, অভিযোগ এখনও পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X