তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপারকে টাকা গোনায় সহযোগিতা করছেন মো. ছগির। ছবি : কালবেলা
মাদ্রাসা সুপারকে টাকা গোনায় সহযোগিতা করছেন মো. ছগির। ছবি : কালবেলা

বরগুনার এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জেলার কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলম ওরফে নাসিরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) মো. শাহজালাল হাওলাদার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, ছেলের চাকরির জন্য ১০ শতাংশ জমি বিক্রি করে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলমকে ৯ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। মাদ্রাসা সুপার দ্রুত চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও চাকরি দিতে না পারায় ১৪ মাস পর ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বারবার তারিখ দিলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাংক থেকে ৯ লাখ টাকা তুলে মাদ্রাসা সুপারের হাতে দিচ্ছেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। পরে ওই মাদ্রাসা সুপার প্লাস্টিকের একটি ব্যাগে টাকাগুলো রাখছেন। এ সময় তালতলী সালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. ছগির উপস্থিত ছিলেন ও টাকা গোনায় সহায়তা করেন।

ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার বলেন, বাড়ির জমি বিক্রি করে ছেলের চাকরির জন্য ৯ লাখ টাকা দিলে মাদ্রাসা সুপার মাহবুব আলম খুব দ্রুত চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ১৪ মাস তিনি কোনো যোগাযোগ করেনি। পরে চার লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি পাঁচ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। চাকরির নামে এমন প্রতারণার কঠিনতম শাস্তির দাবি জানান তিনি।

মাদ্রাসা সুপারের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে মো. ছগির বলেন, চাকরি দেওয়ার ব্যর্থ হয়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন সুপার। বাকি টাকা দেওয়ার কথা শুনেছি। তবে ফেরত দিয়েছে কিনা আমি জানিনা।

মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকার ব্যবস্থা করছি। কিছু দিনের মধ্যে টাকা হয়ে গেলেই সব টাকা ফেরত দিয়ে দেব।

কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মারুফ বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে মাদ্রাসার সুপার মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। তবে চাকরি দেওয়ার ব্যর্থ হয়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বাকি টাকা দিচ্ছেন না। চাকরিও দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু চট্রপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ করছে ভারত : রিজভী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র / আন্দোলনে শিক্ষার্থী নাদিম হত্যা মামলায় তাঁতী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম

সুখবর পেলেন কঙ্গনা, সিনেমা মুক্তিতে নেই কোনো বাধা

মাদারীপুরে ‘কোপা শামসু’ গ্রেপ্তার

রাতের অন্ধকারে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, ৬ বাংলাদেশি আটক

এবার গাজার যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেবেন যিনি

ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ২ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

১০

নির্বাচন কবে হতে পারে, জানালেন আসিফ নজরুল

১১

মুক্তি পেল দুই সিনেমা

১২

মধ্যরাতে ৩০০ ফিট সড়কে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান

১৩

নোয়াখালীতে দখলমুক্ত ফুটপাত, ব্যবসায়ীদের জরিমানা

১৪

একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

১৫

ছিলেন জন্মগত বয়রা, গ্রেনেড হামলার ভুক্তভোগী সেজে ‘আওয়ামী গডফাদার’

১৬

গাজার যোদ্ধাদের প্রধান নিহত, যা বলছে পশ্চিমা বিশ্ব

১৭

ত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যুবদলকর্মীর বিরুদ্ধে

১৮

মন খারাপ হলেই বিল্লাল দখলে নিতেন অন্যের সম্পদ

১৯

কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার

২০
X