রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার যৌনপল্লির ১৪শ পরিবারের মাঝে ‘উত্তরণ ফাউন্ডেশন’–এর উদ্যোগে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকেলে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রেলস্টেশন চত্বরে পূর্বপাড়া দৌলতদিয়ার ১ হাজার ৪০০ জন যৌনকর্মীর মাঝে এক কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও সমাজে পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মাঝেও এ মাংস বিতরণ করা হয়।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান প্রধান অতিথি থেকে এসব মাংস বিতরণ করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান, উত্তরণ ফাউন্ডেশনের সদস্য লুলু আল মারজান, সৈয়দ মোশারফ আলী মিরশাদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, দৌলতদিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফকীর আব্দুল জলিল, যৌনকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী ঝুমুর বেগমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের দিনে মাংস পেয়ে যৌনকর্মীরা জানান, ‘দৌলতদিয়ার এসব পরিবার এ নিয়ে চারবার কোরবানির মাংস পেয়েছে। এর আগে এভাবে কখনোই তাদের হাতে মাংস দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি মৃত্যুর পর জানাজার মধ্যদিয়ে অবহেলিত এসব যৌনকর্মীদের প্রতি পুলিশ ভালোবাসার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেটা এই পল্লির বাসিন্দারা সারাজীবন মনে রাখবে। এই পল্লির বাসিন্দারা যখন অসহায় তখন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমান মাংস বিতরণ করে পল্লির অনেক পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।’
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, উত্তরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমান দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বসবাসরত ১ হাজার ৪০০ পরিবারকে এক কেজি করে কোরবানির মাংস উপহার দিয়েছেন। এখানকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনতে, তারা যেন আনন্দ–উচ্ছ্বাসে থাকতে পারে, সে জন্য স্যারের এই আয়োজন। এই মাংস পেয়ে যৌনপল্লির বাসিন্দারা অনেক খুশি হন।
মাংস পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মাহিয়া মাহি জানান, ‘এ মাংস পেয়ে আমরা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ খুব খুশি হয়েছি। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি ও উত্তরণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।’
মন্তব্য করুন