রক্ষক যখন ভক্ষক তখন বন রক্ষা করবে কে? রাতের আঁধারে অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় বন কেটে উজাড় করা হচ্ছে। বনে থাকা বহু বছরের পুরোনো গাছ কাটা হচ্ছে নির্দ্বিধায়। টাকার লোভে এভাবে বন কাটায় হতবাক স্থানীয়রাও। বন উজাড়ের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ সংবাদ সংগ্রহে গেলে গুলি করে দেন বন কর্মকর্তারা। ঘটনা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বন রেঞ্জের। এখানকার রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও বাগান মালি ফরিদ মিয়ার কথাই শেষ কথা। দুজনে মিলেমিশে চালিয়ে যাচ্ছেন বন উজাড়ের এই অপকর্ম।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বন রেঞ্জের আওতাধীন বন বিট এলাকা থেকে চোরাকারবারিরা বাঁশ ও গাছ পাচার করছে। এদিকে বাজার থেকে সাধারণ মানুষ বাঁশ কিনে নিয়ে যেতে লাগলেও হয়রানি করেন রেঞ্জের কর্মকর্তারা। ভয় দেখিয়ে সেখান থেকেও আদায় করেন অর্থ।
এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরাও বন বিভাগের দ্বারা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। তারা বলছেন, এই কর্মকর্তারা গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত থাকায় নিঃশেষ হচ্ছে বন।
অভিযোগের বিষয়ে বাগানের মালি ফরিদ মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিককে চিনে রাখার জন্য অফিসে দাওয়াত দেন। বলেন, স্যার আসলে আপনাকে ফোন দেব।
আর ফরেস্টার তৌহিদুল ইসলাম নিজের অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে সাফাই গাইলেন মালি ফরিদের পক্ষেই। দ্বায়সারা বক্তব্য দিয়ে জানালেন, তাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসে না।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে বন উজাড়ের বিষয়টি জানানো হলে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গাছ কাটার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনের গাছ এভাবে প্রতিরাতে চোরাকারবারীদের হাতে চলে যাওয়ায় ক্রমান্বয়ে উজাড় হচ্ছে বন। প্রকৃতি রক্ষায় অসাধু কর্মকর্তাদের পাশাপাশি চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমন দাবি স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন