কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনের আগে দাফন কাফনের সামগ্রী পেয়েছেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তারা হলেন—বিপুল, সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিন।
এ বিষয়ে প্রার্থী বিপুল বলেন, ‘আমি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্নভাবে বাধা পাচ্ছি। বুধবার মধ্যরাতে আমার বাড়িতে কাফনের কাপড়, গোলাপজল, সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে। আমি নির্বাচনের প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরে এগুলো দেখতে পাই। আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাচ্ছি।’
এ বিষয়ে প্রার্থী সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী প্রচার শেষে আমরা বাসায় ফিরে দেখি বাড়ির ভেতরে কারা যেন একটি পলিথিন ব্যাগে কী রেখে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ওসি সাহেবকে জানালে পুলিশ আসে এবং সেই পলিথিনের ভেতরে কাফন, গোলাপজল, সাবান, আগরবাতি পাই। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আর মাত্র তিন দিন পরে ভোট—এখন যদি মৃত্যুর আগে কাফনের কাপড় রেখে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ তো আর ভোট সেন্টারে যাবে না। তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
দৌলতপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যা যা করা দরকার সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, ‘মেম্বার প্রার্থীরা মুঠোফোনে আমাকে জানান—আমাদের বাড়ির ভেতরে কারা যেন পলিথিন ব্যাগে কী ফেলে রেখে গেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে পলিথিন ব্যাগে থাকা কাফনের কাপড়সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ১২ জুন। কাজল মেম্বার সন্ত্রাসীর হামলায় নিহত হওয়ার কারণে ওয়ার্ডটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে । নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নিজাম উদ্দিন, টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বকুল আহমেদ বিপুল, মোরগ প্রতীক নিয়ে শামিম হোসেন, ফুটবল প্রতীক নিয়ে সিদ্দিকুর রহমান, তালা প্রতীক নিয়ে ছাপাতন নেছা।
মন্তব্য করুন