শেরপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ দুজনকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করেছে অনুসন্ধান কমিটি। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ নুরুল আমিন ভূঁইয়া ওই নির্দেশ দেন।
তারা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। তাদের আগামী বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার মধ্যে প্রার্থী নিজ সশরীরে অথবা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ঝিনাইগাতী বাজারে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন সহকারে নির্বাচনী প্রচারণা করেন এবং স্থানীয়দের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ওইসব শোডাউন ও প্রচারণার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়। এ ছাড়াও এডিএম শহিদুল ইসলাম ঝিনাইগাতী বাজারে একই কাজ করেন। এতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে উভয় ঘটনার সত্যতা পেয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই অনুসন্ধান কমিটির বেঞ্চ সহকারী আবু বকর সিদ্দিক। তিনি জানান, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক) ও ১২ ধারার বিধানসমূহ লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই ২ প্রার্থীর কাছে শোকজের নোটিশ ইতোমধ্যে প্রার্থীদের স্ব-স্ব থানায় (শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুইয়া ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী কালবেলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো কাজ করিনি। তবে বিজ্ঞ বিচারকের মাধ্যমে গঠিত কমিটি যদি আমার আচরণ অমান্য হিসেবে দেখেন তাহলে আমি এর নোটিশ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে জবাব দেব। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম এখনও চিঠি হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন