কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কেরানীগঞ্জে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস

কেরানীগঞ্জ বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামফলক। ছবি : কালবেলা
কেরানীগঞ্জ বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামফলক। ছবি : কালবেলা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাহপুরের বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ফাঁস করা প্রশ্নে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। কিছু অসাধু শিক্ষক পরীক্ষার আগেই নিজেদের প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসাধু শিক্ষকরা তাদের প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এই অসাধু উপায় অবলম্বন করেছে।

জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে বিদ্যালয়টির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়টির কিছু অসাধু শিক্ষক পরীক্ষার আগের দিন তাদের কাছে থাকা প্রশ্নপত্র প্রাইভেট পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ও মোবাইলের মাধ্যমে দিয়ে দেন। গত মঙ্গলবার বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এই প্রশ্ন পেয়ে এক সাংবাদিকা ওই দিন রাতে ইউএনওকে ফরোয়ার্ড করে রাখে। পর দিন বুধবার সেই ফাঁসকৃত প্রশ্নেই পরীক্ষা নেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এভাবেই ইংরেজি ১ম পত্র ও ইংরেজি ২য় পত্রসহ পরীক্ষার বিভিন্ন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এমন করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা হতাশ। আমাদের স্কুলের কিছু অসাধু শিক্ষক প্রাইভেটের ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দিতে অসদুপায় অবলম্বন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন। অসৎ শিক্ষকরা শিক্ষার্থী ধরে রাখার জন্য এ কাজ করছেন। এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, কিছু অসাধু শিক্ষক তাদের কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকতে পারে। উচ্চ বিদ্যালয়ের ও কলেজ মিলে প্রায় ৬৫ জন শিক্ষক ও কলেজ প্রভাষক রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫-২০ জন ইংরেজি, অঙ্ক ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা বাঘাপুর স্কুল ও কলেজের আশপাশ এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছে। আমি ওই সকল অসাধু শিক্ষকের কাছে জিম্মি। গভর্নিং বোর্ডের সভায় তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. কামরুন্নাহারকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল বিন করিম জানান, বিষয়টি তদন্তে জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বন্যাকবলিত সিলেটে ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পানির সংকট চরমে 

রোনালদোদের বিদায় করে সেমিতে ফ্রান্স

যে কারণে স্পেনের বিপক্ষে জার্মানিকে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি

সিলেটে সাড়ে ২৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ

দল সেমিতে গেলেও ইউরো শেষ পেদ্রির

জনগণের সেবক হয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই : জনপ্রশাসনমন্ত্রী 

বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে ১০৬২ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ

বেলাবতে চায়না কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

ক্রুসকে অবসরে পাঠিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

১০

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, শতাধিক বসতভিটা বিলীন

১১

কোটার বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

১২

কোটাবিরোধী আন্দোলন / ক্লাস বর্জনের ডাক দিচ্ছে জবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা 

১৩

ওয়ান বাংলাদেশের সন্মিলনে জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়

১৪

দাবাকে ভালোবেসে, দাবার কোর্টেই প্রাণ

১৫

নিষিদ্ধ ভয়ংকর অস্ত্র বানাচ্ছেন পুতিন, টার্গেট কে?

১৬

চিনিকলের আধুনিকায়নে সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ এস আলম গ্রুপের

১৭

আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা, বাঘার পৌর মেয়র ঢাকায় গ্রেপ্তার 

১৮

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর

১৯

মহাকাশেও থামানো যাচ্ছে না ইরানকে

২০
X