গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক আইনজীবী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বাবার সম্পত্তি দখল করার জন্যই হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা করা হয়।
হামলার শিকার হওয়া ওই আইনজীবীর নাম কল্পনা আক্তার (৩২)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং গাজীপুর জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় কল্পনা আক্তারের মা সখিনা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে কালিয়াকৈর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন, দুলাল হোসেন দুলু (৫৮), আছিয়া বেগম (৫৫) ও তার ছেলে নাজমুল হাসান রাজু (২২), মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫)। তারা প্রত্যেকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বরাব গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাডভোকেট কল্পনা আক্তার বর্তমানে পরিবার নিয়ে উপজেলার মৌচাক এলাকায় বসবাস করেন। শুক্রবার দুপুরে কল্পনা আক্তার তার নিজ গ্রাম বরাব এলাকায় বাবার বাড়িতে যান। এ সময় কল্পনা আক্তারের উপস্থিতির খবর পেয়ে প্রতিবেশী দুলাল হোসেন দুলু, স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তার ছেলে নাজমুল হাসান রাজুসহ ৫-৭ জন একত্রে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কল্পনা আক্তার ও তার মা সখিনা বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে কল্পনা আক্তারের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কল্পনা আক্তারের মা সখিনা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী রেজাউল করিম মারা গেছে। তার রেখে যাওয়া সম্পদ আমার মেয়েদের দিয়ে গেছে। কিন্তু আমার নিকটাত্মীয়রা আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পদ দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। সেই সূত্র ধরেই আমার মেয়ে ও আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’ এদিকে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জানান সখিনা বেগম।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগটির তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন