‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে প্রচলিত ধানের অনেক জাত আজ বিলুপ্তির পথে। তবে আশার কথা হচ্ছে সময়ের পরিবর্তনের সাথে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবিত হচ্ছে। কৃষকদের নতুন জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুর্যোগ সহনশীল ও জলবায়ু উপযোগী কৃষির অনুশীলন ও বিস্তার প্রকল্পের আওতায় ব্রি ধান ৯৫ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশিদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। সেটি মাথায় নিয়ে অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণে আমাদের উন্নত জাতের ধান চাষ করে খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর এ ব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্র এলাকায় ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, গত মৌসুমে এ রোগে অত্রাঞ্চলের কৃষক বিআর ২৮ ও বিআর ২৯ চাষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই দুর্যোগ সহনশীল বিআর ৯৬, বিআর হাইব্রিড-৩, বিআর হাইব্রিড-৫ চাষ করলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। কারণ এই ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেলেও সহজে নষ্ট হবে না। তা ছাড়া বিআর হাইব্রিড-৩, বিআর হাইব্রিড-৫ ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয় খুব কম। তাই এই ধান চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও এসেড হবিগঞ্জ এর প্রধান নির্বাহী জাফর ইকবাল চৌধুরীর সঞ্চালনায় হবিগঞ্জ সদরের লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়ায় ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জের উপপরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালক এ কে এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় হবিগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবু সাঈদ, সাইন্টিফিক অফিসার আবু নাঈম, দুর্যোগ সহনশীল ও জলবায়ু উপযোগী কৃষির অনুশীলন ও বিস্তার প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার জুলফিকার আলী, সহকারি প্রজেক্ট অফিসার দুলাল মিয়া, প্রজেক্টের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মাহমুদুর রহমান, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন