দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ছিট ভগীর পাড়াগ্রামের শিক্ষিত তরুণ যুবক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজ এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ফলবাগান করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। পড়ালেখা শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে ২০২০ সালের মে মাসে ৪২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৬৭ শতক জমিতে শুরু করেন মাল্টা, কমলা, আপেল কুল, লেবু ও সুপারি চাষ। এই মিশ্র ফল বাগান করার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাগান থেকে বছরে ৩ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি।
বর্তমানে মামুনের এই মিশ্র ফল বাগানে ১৪০টি বারি-১ জাতের মাল্টা, ১০৬টি দার্জিলিং মেন্ডারিং কমলা, ১০০টি বলসুন্দরী ও কাশমেরী আপেল কুল, ৮৭টি সুপারি ও ১৫০টি লেবু গাছ রয়েছে।
আল মামুন জানান, আমি এই বাগানটি ২০২০ সালের দিকে শুরু করি। বাগান করার ১৫ মাস পরেই এই বাগান হতে সব মিলে ২ লাখ টাকা আয় করি। ২০২২ সালের ভুল কীটনাশক স্প্রে করায় আপেল কুলের ক্ষতি হয়। ওই সময় অন্যান্য মাল্টা, কমলা, লেবু ও সুপারি হতে কিছু আয় করি।
কিন্তু ২০২৩ শুরুর দিকে আমার এই বাগান থেকে শুধু মাল্টা বিক্রি করি এক লাখ ২৫ হাজার, লেবু ৪০ হাজার, বর্তমানে কমলা ও আপেল কুল আছে যা দাম ও বাজার ভালো থাকলে দুই লাখ বেশি বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার এই বাগানে কমবেশি তিনজন শ্রমিক প্রতিনিয়ত কাজ করেন। আমি তাদের একটা কর্মসংস্থানও তৈরি করতে পেরেছি। এখান থেকেই তারা বাড়তি আয় করছে। তবে আমার মিশ্র ফল বাগান করার একটাই উদ্দেশ্য, তা হলো এই বাগান থেকে এক সিজনে কয়েক প্রকার ফল ধাপে ধাপে বিক্রি করতে পারছি।
মন্তব্য করুন