পিরোজপুরের নেছারাবাদে বলদিয়া ইউনিয়নে ইন্দুরহাট-জিলবাড়ি ভায়া বিন্নাবাজার সড়কে পুরোনো ভবনের কংক্রিট দিয়ে রাস্তা তৈরির অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান EFT-ETCL-এর মাধ্যমে IRIDP-3 প্রজেক্টের আওতায় ২০৯৮ মিটার রাস্তার ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার ২৪০ টাকা প্রকল্প ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছে।
গ্রামবাসীরা জানান, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এই রাস্তার সাব-ঠিকাদারির কাজ পেয়েছেন, তাই ক্ষমতার বলে রাস্তার কাজে প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তায় নতুন ইটের পরিবর্তে পুরোনো ইট দিয়ে এজিং করেছে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বানারিপাড়ার জলিল হাওলাদারের পরিত্যক্ত পুরোনো বিল্ডিংয়ের ইট ও ছাদের ঢালাই ক্রয় করে রাস্তায় ফেলেছে।
এ ব্যাপারে পরিত্যক্ত পুরোনো ছাদ বিক্রেতা ইসরাফিল বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে আমি ৩৫ হাজার টাকার পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের কংক্রিট বিক্রি করেছি। বিল পাস হলে ওই টাকা দেবে বলে চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন।
বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, আমাকে নিয়ে গ্রামবাসীরা যে অভিযোগ করেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। এই ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিল বলে কোনো কাজের অগ্রগতি হয়নি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজে পুরোনো সলবেস্ট মালামাল বাবদ ১৯ লাখ ১৫ হাজার ২৬৮ টাকা ধরা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে বাহির থেকে এক ট্রলার পুরোনো বিল্ডিংয়ের মালামাল এনেছি। পরে আর আনা হবে না।
এ ব্যাপারে নেছারাবাদ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, পুরোনো বিল্ডিংয়ের কংক্রিট দেওয়া সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে এই রাস্তা পূর্বে সিসি রাস্তা ছিল, সেই রাস্তার ভগ্নাংশের মূল্য বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছিল সে অনুযায়ী রাস্তার কাজ চলমান আছে।
মন্তব্য করুন