পাহাড়ে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ। এবার পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ করে সফল হয়েছেন নুর আলম।
শাইখ সিরাজের কৃষির অনুষ্ঠান দেখে আত্মকর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বী হবার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালে ১৩ একর জমি ক্রয় করেছেন নুর আলম। ক্রয়পূর্বক জমি প্রস্তুত করে একই বছর থেকে ড্রাগনসহ মিশ্র ফলের বাগান শুরু করেন তিনি। মাটিরাঙ্গা কৃষি বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে ড্রাগন চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২ একর জমিতে শুধু ড্রাগন চাষ শুরু করেন নুর আলম। বর্তমানে ২২ শতাধিক পিলারে বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন চাষ করছেন তিনি। তার মধ্যে ইয়েলো, আমেরিকান বিউটি, তাইওয়ান রেড, থাই হোয়াইট উল্লেখযোগ্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে সারি সারি ড্রাগন ফুল ও বাহারি বর্ণের ফল। তবে দিনের দৃশ্য থেকে রাতের দৃশ্য আরও অপরুপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র ৪ বছরের ব্যবধানে সবকটি ড্রাগন গাছে ফলন এসেছে বিক্রিও হয়েছে আশানুরূপ। এ বছর সিজনের শেষ সময়ে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সর্বমোট ৭ হাজার কেজি ড্রাগন বিক্রি করেছেন তিনি। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা।
চাইনিজ কমলা গাছ, রাম ভুটান, লংগান, লটকন, মিয়াজাকি আম, গরুমতি, ভিয়েতনামি মাল্টা, কাটিমন আম, মিশরীয় মাল্টা, রিং মাল্টা, আলুবোখারা, আপেল, নাসপাতি, অ্যাভোকেটর, ব্লাক আম্বর, ঝাড় লেবু, ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোসল রোপন করা হয়েছে এ বাগানে।
তাছাড়া বারোহি, আজওয়া, মিটজল ও আম্বারসহ বিভিন্ন জাতের খেজুরের গাছ রয়েছে তাতে অর্ধেক গাছেই ইতোমধ্যে ফল ধরেছে। এ বছর প্রায় দুই লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করেছেন তিনি।
নুর আলম বলেন, কৃষি বিষয়ের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল বলেই আমি মনে প্রাণে গুরুত্ব দিয়েই কাজটি করি। আমার সফলতা আমাকে নতুন কিছু করতে অনুপ্রাণিত করে। ড্র্রাগন চাষে নতুন জাতের আমদানিসহ নতুন জাতের আরও কিছু ফল চাষাবাদের চিন্তা করছি আমি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, ড্রাগন একটি উচ্চমূল্যের ফসল। মাটিরাঙ্গায় প্রতি বছর ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে। বাজারে এ ফলটির প্রচুর চাহিদা থাকায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। ড্রাগন চাষে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়।
মন্তব্য করুন