চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সিজার ছাড়াই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসবের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই প্রসূতি মায়েরা স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ১২ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে আটজন কন্যা শিশু ও চারজন পুত্র সন্তান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ নার্সদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সিজারের নামে বাণিজ্য, দালালচক্র ও অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতিদের রক্ষায় এবং নিরাপদে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক টিমওয়ার্কের মাধ্যমে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করানোর কাজ করছেন। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণসহ প্রচারে বিভিন্ন কৌশলও কাজে লাগাচ্ছেন তারা। এতে একদিকে তাদের যেমন খরচ বাঁচে অন্যদিকে প্রসবকারী মায়েরাও সুস্থ থাকেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ১১৮৪টি নরমাল ডেলিভারি ও ৫৪ টি সিজারিয়ানের ডেলিভারি করানো হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯ ০০ রোগী সেবা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ কালবেলাকে বলেন, মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে এবং নরমাল ডেলিভারি নিরাপদ করতে এই হাসপাতালে দক্ষ মিডওয়াইফরা আছে। যার ফলে দিন দিন নরমাল ডেলিভারিতে প্রসূতিদের আগ্রহ বাড়ছে। কারণ হাসপাতালে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে না, পাশাপাশি কোনো প্রকার অর্থও ব্যয় হয় না। পুরো উপজেলার গর্ভবতী মায়েদের ডাটাবেজের মাধ্যমে তাদের সরাসরি ও মোবাইল ফোনে খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং প্রসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী চিকিৎসা ও পরমার্শ প্রদান করা হয়। যার ফলে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ছে।
এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একদিনে সর্বোচ্চ ১৯ জন প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করার নজির রয়েছে।
মন্তব্য করুন