টানা হরতাল-অবরোধে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ। এ কারণে লোকসানের মুখে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, টানা অবরোধ ও অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভরা মৌসুমেও পর্যটকদের আনাগোনা নেই। স্থানীয় এবং আশপাশের জেলার দর্শনার্থী এলেও তা একেবারে সামান্য। মহাসমাবেশ, হরতাল আর অবরোধ আতংকে সুন্দরবনে পর্যটক নেই বললেই চলে। ফলে লোকসান গুনছেন সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ব্যবসায়ীরা। সুন্দরবনে ভ্রমণের লঞ্চ ও জাহাজে বুকিং দিয়েও বাতিল করে দিচ্ছেন পর্যটকরা। মৌসুমের শুরুতেই এভাবে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অবরোধে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। পর্যটক না থাকায় সরকারও হারাচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব।
ট্যুর অপারেটর হুমায়ুন কবীর সাকি বলেন, প্রতিবছর এই দিনগুলোতে হাজার হাজার পর্যটকদের ভিড়ে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ, খুলনা রেঞ্জের করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, ত্রিকোন আইল্যান্ড, টাইগার পয়েন্ট, দুবলা, হিরণ পয়েন্ট, নীলকমল অভয়ারণ্য এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হতো। বন বিভাগ, মোংলাবন্দরের রেস্ট হাউস, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ট্যুরিস্ট জলযানগুলো এ মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ে মুখর থাকত। কিন্তু টানা অবরোধের কারণে এসব স্পটে এখন পর্যটকদের দেখা মিলছে না। সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য যারা আগাম বুকিং দিয়েছিলেন তাও তারা বাতিল করছেন। এতে ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে ভরা মৌসুমেও প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ।
মন্তব্য করুন