জয়পুরহাটের বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন পার করছেন। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান এড়াতে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।
গত ২৯ অক্টোবর দিনভর অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৫১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে জেলার পাঁচটি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করেছে।
এদিকে গত শনিবার থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে। বিএনপির দাবি, তাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে বিস্ফোরক আইনে নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলার বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে। এসময় তিনি আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর জেলায় ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেলার ৫ থানায় বিস্ফোরক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের প্রধান সড়কের পৃথিবী কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক থেকে সদর থানা পুলিশ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলামসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগে অবিস্ফোরিত ১২টি ককটেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার ৩০ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
একই তারিখে ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তা বাজার মহাসড়কের পাশে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে টহল পুলিশকে দেখতে পেয়ে পুলিশের দিকে কিছু লোক ইট-পাটকেল ছোড়ে। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করে। সেখান থেকে অবিস্ফোরিত পাঁচটি ককটেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানার এসআই রাশেদ কবীর বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া জেলার কালাই থানায় তিনজন, আক্কেলপুরে সাতজন ও পাঁচবিবিতে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবীর বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ককটেল ও বাঁশের লাঠি উদ্ধার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন