ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে রাঙামাটিতে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। জানমালের ক্ষতি এড়াতে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাপ্তাই হ্রদে সব প্রকার নৌযান চলাচল জেলা প্রশাসন বন্ধ ঘোষণা করায় দুর্ভোগে পড়েছে রাঙামাটির পাঁচ উপজেলার মানুষ ও পর্যটকরা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত নৌযানগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সকাল থেকে রাঙামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে লঞ্চ বোটসহ সব প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে রাঙামাটি জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ ব্যবহার করা বিলাইছড়ি, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ির উপজেলার মানুষ।
মঙ্গলবার ছেড়ে যাওয়া নৌযানগুলোও স্ব স্ব উপজেলায় আটকা পড়ে আছে বলে জানা গেছে লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে।
অপরদিকে জেলার হোটেল-মোটেলে অবস্থান করা পর্যটকরা কাপ্তাই হ্রদে নৌচলাচল বন্ধ থাকায় সুবলং ঝর্ণাসহ নৌপথে থাকা পর্যটন স্পর্টগুলোতে ও কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে যেতে পারছে না। এতে তাদের অনেককে হতাশা নিয়ে ফেরত যেতে দেখা গেছে।
রাজশাহী থেকে রাঙামাটি ঘুরতে আসা পর্যটক মো. করিম জানান, আমরা রাজশাহী থেকে ৪০ জন এসেছি রাঙামাটিতে ঘুরতে। এসেছিলাম সুবলং ঝরনায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় হামুনের জন্য এখানে নৌচলাচল বন্ধ শুনছি। তাই ঘাটে এসে আবার ফেরত যাচ্ছি। হ্রদে ঘুরতে পারলে ও সুবলং ঝরনায় যেতে পারলে ভালো লাগতো। অনেক আশা নিয়ে এসেছি কাপ্তাই হ্রদে ঘুরতে কিন্তু সেটা আর বোধই হবে না।
আর এক পর্যটক নাঈম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা থেকে এসেছিলাম আমরা পাঁচ বন্ধু। কিন্তু সকাল থেকে নৌচলাচল হ্রদে বন্ধ থাকায় হ্রদে নৌ-ভ্রমণ আর হলো না। শহরে থাকা পর্যটন স্পর্টগুলো ঘুরে বিকালে ফিরে যাব।
লংগদু উপজেলায় বসবাস করা মোহাম্মদ ফরিদ জানান, চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম পারিবারিক কাজে পরিবার নিয়ে। সকালে চট্টগ্রাম থেকে এসে দেখি নৌচলাচল বন্ধ। এখন কীভাবে যাব লংগদু। তাই ঘাটে বসে আছি। হোটেল নিয়ে থাকলে তো অনেক টাকা লাগবে।
মন্তব্য করুন