ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূল অতিক্রম করলেও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, শাহপরীরদ্বীপ ও বাহারছড়ায় উপকূলীয় এলাকায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এতে শঙ্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে জনজীবন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে দুর্বল হয়ে উপকূলীয় এলাকায় শঙ্কা কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ও কক্সবাজার জারি থাকা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমান স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে টেকনাফ উপজেলায়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়। এর ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আলামতই এখানে তৈরি হয়নি। মঙ্গলবার রাতে এটি কক্সবাজার অতিক্রম করায় পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হয়েছে এ এলাকার মানুষ। সেন্টমার্টিন দ্বীপে এর আগে দেড়শতাধিক পর্যটক সেখানে থেকে যায় সতর্ক সংকেত কেটে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেকোনো সময় পর্যটকদের টেকনাফ ফিরিয়ে আনা হবে।
টেকনাফে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বইয়ে যেতে শুরু করে। রাতে কিছু এলাকায় গাছপালা ভেঙেছে, ঘরবাড়ির ও ফসলি জমির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় হামুন এ বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া ছিল। তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং সেন্টমার্টিনে দেড়শতাধিক পর্যটক অবস্থানরত রয়েছে। তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে তাদেরকে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরিয়ে আনা হবে।
টেকনাফ সিপিপি রেডিও অপারেটর আমির বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে এবং বিপদ সংকেতের উপকূলীয় এলাকা থেকে সব পতাকা নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। কক্সবাজার টেকনাফ উপকূলীয় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে এখানে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন