কক্সবাজারের মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় হামুনে মুন্সির ডেইলের হরাধন নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছ, বিদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে।
জানা গেছে, মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির বাসিন্দা।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুর হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনে আহত হয়ে একজন মারা গেছে এবং আটজন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছে এর মধ্যে সাপে কাটা এক রোগীও এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনে উপজেলার কালারমার ছড়া, বড় মহেশখালী, কুতুবজোম, পৌরসভা,মাতারবাড়ি, ধলঘাটে অন্তত ১০ হাজার কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সড়কের পাশে লাগানো গাছে উপড়ে পড়ে কালারামার ছড়া-গোরকঘাটা, শাপলাপুর ও কুতুবজোম সড়ককে চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং একাধিক বিদ্যুৎতিক খুঁটিও পড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে ৯৬টি সাইক্লোন সেল্টার রাখা হয়েছিল।এখানে আশ্রয় নিয়েছে ৮২৩০ জন। শুকনো খাবার রাখা হলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তা আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়নি। প্রধান সড়ক থেকে গাছ সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের পক্ষে সব গাছ সরানো সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসনের সহয়তা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দুই টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামাল জানান, সোনাদিয়াসহ কুতুবজোমে গাছ ও দেয়াল পড়ে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেককে হাসপাতালে যেতে পারেনি।
কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ জানান, বহু কাঁচাবাড়ি ভেঙে গেছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিকি মারমা জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনে মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ও টাকা বিতরণ করা হবে।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনে মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহয়তা প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন