পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সামান্য উত্তাল রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার অনেক স্থানে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার ও মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। তাই দেশের সব সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
নিন্মচাপের প্রভাবে জেলায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে নদ-নদী নীবর রয়েছে।
স্থানীয়রা জেলে ও নদীর পাড়ের বাসিন্দারা জানান, উপকূলীয় এলাকায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় গভীর সমুদ্রে বা নদ-নদীতে কোনো মাছ ধরার নৌকা বা টলারের অবস্থান নেই। বর্তমানে জাল নৌকা মেরামতে সময় পার করছেন তারা। আবহাওয়া খারাপ হলে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে জানান স্থানীয়রা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ জানিয়েছেন যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থায়ী নির্দেশনাবলি (এসওডি) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের হাতে যথেষ্ট খাদ্য ও নগদ টাকা মজুদ আছে। সংকেত বৃদ্ধি হলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন