সহকারী পুলিশ সুপার কার্যালয় সংলগ্ন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম সামছুল আলম কাওসারের নবনির্মিত বাড়ির প্রাচীর ভেঙে দুর্বৃত্তরা শতাধিক চারাগাছ কেটে ফেলেছে।
এ ঘটনায় সামছুল আলমের স্ত্রী সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলমসহ ২৩ জনকে আসামি করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, কাওসার আলমের ৫ বোন ও এক চাচা তাকে না জানিয়ে হিস্যা ভাগ না করে তাদের অংশ বিক্রি করে ফেলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। কাওসার আলমের মৃত্যুর পর পৌর শহরের বিশাল সহায় সম্পত্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন তার স্ত্রী সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া ও তার নাবালক তিন সন্তান। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলমান।
সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া জানান, এ বিষয়ে সমাধানের লক্ষ্যে সার্কেল অফিসে একাধিকবার ডাকা হলেও জাহাঙ্গীর আলম গংরা আসেন না। স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) প্রথম প্রহরে তাদের নবনির্মিত দেয়াল, টিনের বেড়া ও এসি ভেঙে ফেলে।
তিনি আরও জানান, এ সময় কসবা থানা ওসিকে ফোন দিয়ে সাাড়া না পেয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দেন। এই বাড়িতেই সহকারী পুলিশ সুপার কসবা সার্কেল মো. দেলোয়ার হোসেনের ভাড়া কার্যালয় ও বাসা। রাতে তিনি বাসাতেই ছিলেন।
এ বিষয়ে সহাকরী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি মরহুম সামছুল আলম কাওসারের স্ত্রীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে আমি তদারকি করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা পুলিশের সার্কেল অফিস সংলগ্ন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কসবা থানার ওসিকে আহ্বান জানান।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। রাতের আঁধারে কে বা কারা দেয়াল ভেঙেছে তা তার জানা নাই। তিনি আমার কেনা জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করেছেন।
সাবেক কসবা পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাগজপত্র অনুযায়ী এসব বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য বারবার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সাঈদা সুলতানা বসতে আগ্রহী নন।
মন্তব্য করুন