নির্মমভাবে খুনের পর কালবেলায় রিকশাচালক দুলালের পরিবারের অসহায়ত্বের খবর প্রচার করে চাঁদপুর সদর ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর এবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সাড়া পেল সেই পরিবার।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দুলালের পরিবারকে এক জোড়া বকরি উপহার প্রদান করা হয়। মৃত দুলালের পরিবারের পক্ষে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের হাত থেকে এ উপহার গ্রহণ করেন দুলালের স্ত্রী কোহিনুর বেগম। এ সময় চাঁদপুর সদরের ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত, এসিল্যান্ড মো. হেদায়েত উল্লাহ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার স্বামীকে মেরে ফেলার পর সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছিলাম। এখন এই ছাগলগুলো লালন পালন করে সংসারে উপার্জনের একটি ভিন্ন অবলম্বন পেলাম। আমি এর জন্য কালবেলার সাংবাদিকসহ ইউএনও মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত কালবেলাকে বলেন, নির্মমভাবে খুন হওয়া রিকশাচালক দুলালের পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন থেকে সামান্য উপহার প্রদানের মধ্য দিয়ে পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। শুধু দুলালের পরিবারের অসহায়ত্বই নয় বরং যে কারও অসহাত্বসহ সমাজের নানাবিধ খবরই আমাদের নজরে আনবে কালবেলা এমনটাই প্রত্যাশা করছি। আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি সেসব বিষয়ে কিছু করার সুযোগ থাকে অবশ্যই তা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর পৌরসভা নিবাসী অটোরিকশাচালক দুলালকে নির্মমভাবে হত্যা করে শরিফ। মৃত্যুকালে দুলাল এক স্ত্রী, এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর দুলালের মৃত্যুতে তার পরিবারের অসহায়ত্বের খবর কালবেলায় প্রকাশ করে পাশে দাঁড়াতে সদর ইউএনও এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতেই উপজেলা প্রশাসন দুলালের পরিবারের হাতে এই উপহার তাদের হাতে তুলে দেয়।
মন্তব্য করুন