শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাংবাদিক দেখে ইলিশ নিয়ে পালালেন এএসআই

ইলিশ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন এএসআই রবিউল। ছবি : কালবেলা
ইলিশ ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন এএসআই রবিউল। ছবি : কালবেলা

মা ইলিশ মাছ নিধনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। জেলেদের থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে জব্দ না করে মোটরসাইকেলে করে চলে যাচ্ছিল পুলিশ। মোটরসাইকেলে কী রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এএসআই রবিউল ইসলাম পুলিশ কনস্টেবল ইকবাল হোসেনকে ফেলে রেখেই ইলিশ মাছ নিয়ে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের চরমনপুরা ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

মোটরসাইকেলযোগে ইলিশ মাছ নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবাল হোসেন। তাদের পেছনে অন্য একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন গোসাইরহাট থানার হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান। মোটরসাইকেলে বড় ছোট মিলিয়ে ২০টি মাছ ছিল। প্রত্যেকটি মাছের ওজন এক থেকে দেড় কেজি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ জেলেদের থেকে ইলিশ মাছ কেড়ে নেয়। পকেটে টাকা যা পায় তা নিয়ে চলে যায়। কিন্তু জেলেদের ছেড়ে দেয়। মাছগুলো তারা গোপনে বিক্রি করে ও নিজেদের পরিবারের জন্য নিয়ে যায়। আজও জেলেদের থেকে মাছ নিয়েছিল পুলিশ। মাছগুলো জব্দ না করেই তারা নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সাংবাদিকরা টের পেলে পুলিশ অপর পুলিশ সদস্যকে ফেলে রেখে চলে যায়।

চরভূঁয়াই গ্রামের রোমান শেখ বলেন, মানুষ ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের থামিয়ে পাশে নিয়ে পকেটের টাকা ও ইলিশ মাছ নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কাউকে ইলিশ মাছসহ গ্রেপ্তার করতে দেখিনি তাদের।

পুলিশ কনস্টেবল ইকবাল হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। আপনি আমার সিনিয়র স্যারের (হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) সঙ্গে কথা বলুন।

এএসআই রবিউল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেন, ভাই আমার চাকরিটা যাবে। বিষয়টি বাদ দেন। আমরা নিজেরা নিজেরাই তো।

হাটুরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ভ্যানে মাছ রেখে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ার পর মাছগুলো আমরা নিয়ে এসেছি। জব্দ তালিকা করা হয়নি। ওসি স্যারকে জানিয়ে আমরা মাছ নিয়ে যাচ্ছি। ওই পুলিশ সদস্য বুঝতে না পেরে দৌড় দিয়েছেন। পরে জব্দ তালিকায় দেখানো হবে। ভ্যান গাড়িটি কেন জব্দ করা হলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্যান গাড়ি জব্দ করা হয়নি।

গোসাইরহাট থানা পুলিশের ওসি মো. আসলাম শিকদার বলেন, মাছ পাওয়া গেলে পুলিশ জব্দ করে মাছগুলো নিয়ে আসতে পারে। তবে তাদের আগে জব্দ তালিকা করতে হবে। এরপর মাছগুলো এতিমখানায় দিয়ে দিবে। তবে দৌড় কেন দিবে তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি ফারুকের

সিজেএফবি’র সভাপতি এনাম সরকার, সম্পাদক রানা 

ইডির প্রশ্নের মুখে তামান্না ভাটিয়া 

লেবানন থেকে ছোড়া রকেট ঠেকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল

নিয়োগ দিচ্ছে সীমান্ত ব্যাংক

নোমান-সাজিদের ঘূর্ণিতে ১১ ম্যাচ পর জয় পাকিস্তানের

লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

আমার দেশ পত্রিকা কবে বাজারে আসছে, জানালেন মাহমুদুর রহমান

পারকি সৈকতে বেপরোয়া বাইকাররা / দুর্ঘটনা আর ভোগান্তিতে বিরক্ত পর্যটকরা

ইয়ামালের জন্য ৩২৩৬ কোটি টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান বার্সার

১০

এক ঘণ্টার জন্য উপপরিচালক হলেন ঝালকাঠির ফাতিমা

১১

১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

১২

নিহত সেই মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সনের খোঁজ মেলে যেভাবে

১৩

‘আ.লীগের গড়া সিন্ডিকেট এখনো ভাঙতে পারেনি এই সরকার’

১৪

ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

১৫

শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বিগ ব্রাদারসুলভ আচরণ করছে ভারত : রিজভী

১৬

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র / আন্দোলনে শিক্ষার্থী নাদিম হত্যা মামলায় তাঁতী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

১৭

মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

১৮

সব রেকর্ড ভাঙল সোনার দাম

১৯

সুখবর পেলেন কঙ্গনা, সিনেমা মুক্তিতে নেই কোনো বাধা

২০
X