নওগাঁর নিয়ামতপুরে বস্তায় আদা চাষে সফল হয়েছেন কৃষক শরিফুল ইসলাম ও কিষানি রোকসানা খাতুন। বাড়ির আঙিনা, বাড়ির ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে কিংবা টবে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তা দেখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বস্তায় আদা চাষের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১২০০ বস্তা আদা চাষ হয়েছে। চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে বস্তায় আদা রোপণ করলে পৌষ বা মাঘ মাসে আদা উত্তোলন করা যায়। কন্দ পচা রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে আদা রক্ষায় নিয়মিত বিকেলে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আদা উত্তোলনের পূর্ব পর্যন্ত প্রতি বস্তায় খরচ হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিটি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদার উৎপাদন হয়। এতে প্রতি বস্তায় খরচ বাদে আয় হবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়া গ্রামের রোকসানা খাতুন দুজনে মিলে গড়ে তুলেছেন ১ হাজার ২০০ বস্তাসংবলিত আদার ক্ষেত।
কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, অবসর সময় বসে না থেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় ৮০০ বস্তায় আদা লাগিয়েছি। প্রতি বস্তায় খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি আদা উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।
রোকসানা খাতুন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪০০ বস্তা আদা চাষ করেছি। বস্তায় আদা চাষে তুলনামূলক রোগবালাই ও খরচ কম। ফলনও ভালো, লাভ দ্বিগুণ। ছায়াযুক্ত হওয়ায় খরার কোনো প্রভাব পড়ে না। আদার গাছপাত ভালো হয়েছে ফলনও ভালো হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, বস্তায় আদা চাষ করলে অতিবৃষ্টি বা বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। কৃষককে উদ্বুদ্ধ ও পরামর্শ দিয়ে উপজেলায় ১২০০ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে। ফল বাগানে, পতিত জমিতে, বসতবাড়ির আনাচে কানাচে, এমনকি বাড়ির ছাদে আদা চাষ করা যায়। বস্তায় আদা চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
মন্তব্য করুন