মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে আমৃত্যু কাজ করেছেন পান্না কায়সার। তিনি শিশু-কিশোরদের আলোর পথ দেখিয়েছেন। কীভাবে ভালো মানুষ, সুনাগরিক হতে হয় সেই শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। স্বপ্ন দেখতেন, প্রতিটি শিশু হবে দেশপ্রেমিক ও মেধাবী। তারা সুস্থ ধারার সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের বাংলাদেশ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে তুলে ধরবে। সন্তানের অর্জনে গর্ববোধ করবেন দেশের সব অভিভাবক।
শহীদ জায়া ও জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সারের শোকসভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এভাবেই তার কর্মজীবন ও স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন।
গত শুক্রবার শেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই শোকসভার আয়োজন করে খেলাঘর শেরপুর জেলা কমিটি। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল পাতাবাহার খেলাঘর আসর।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, একজন মহীয়সী নারী ছিলেন শিক্ষাবিদ ও লেখক পান্না কায়সার। তাঁর অকাল মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে দেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সর্বোপরি একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। খেলাঘর আন্দোলনকে বেগমান করতে তাঁর অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।
অ্যাডভোকেট মো. ইমাম হোসেন ঠান্ডুর সভাপতিত্বে শোকসভায় অধ্যাপক পান্না কায়সারের সংগঠন ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা করেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, খেলাঘর প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল হান্নান চৌধুরী, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন মুন্না, অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া, পাতাবাহার খেলাঘর আসরের সভাপতি আনিসুর রহমান, উদীচী শেরপুর জেলা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক সারওয়ার জাহান তপন, খেলাঘর শেরপুর জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আজাহার আলী, সন্ধানী খেলাঘর আসরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ আবু সালেহ, মো. আজাহারুল ইসলাম ফিরোজ, প্রভাষক দেবাশীষ দাস মিলন, প্রভাষক মলয় চাকী, মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন খেলাঘর শেরপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ সাহা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিষদ সদস্য মো. মমিনুল ইসলাম, দীপক দাম, অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল, আঙুর ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন