কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ক্যাম্প ছাড়াও শত শত বসতিসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। অনেক আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার।
যার কারণে সীমানা নির্ধারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিজিবিকে। নতুন করে হুমকিতে আরও দুই সীমানা পিলার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হলেও কোনো সুফল আসছে না।
ভারত সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর এলাকায় তীব্র নদীভাঙনে বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার জনপদ গ্রাস করে চলেছে পদ্মা নদী। এখন ভাঙন থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থান করছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প। আর ৪০ মিটার দূরে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়াও রয়েছে দোকান-পাট, হাট-বাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ নানা স্থাপনা যা এখন হুমকির মুখে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই বছরে নদী ভেঙেছে দেড় কিলোমিটারের মতো। শত শত একর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন হাজারো সাধারণ মানুষ। বারবার বসতভিটার স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে নদীভাঙনে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে এই উদয়নগর এলাকাও নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা এবং হুমকির মুখে পড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্পও। এই ক্যাম্প না থাকলে নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিজিবি কর্তৃপক্ষও দাবি জানিয়েছেন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।
এ বিষয়ে ইউনিটির ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, শত শত একর জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন নদীভাঙনকবলিত মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সিরাজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, এই এলাকাসহ সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের। অনেক বছর আগেই নদীগর্ভে চলে গেছে দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার। যার কারণে সীমানা নির্ধারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিজিবিকে। এদিকে নতুন করে হুমকিতে আরও দুটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার।
নদীভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেওয়ার কথা জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলছেন, এই এলাকাসহ বিজিবি ক্যাম্প রক্ষায় প্রয়োজন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, এখনই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সম্ভব না হলেও ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মন্তব্য করুন