এক ইলিশের দাম পাঁচ হাজার! শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা এমনই। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকায় বিক্রির জন্য উঠে এই রাজা ইলিশটি। মাছটির ওজন দুই কেজি।
স্থানীয় লঞ্চঘাটের জেলে মো. খলিল ফকির জানান, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদে বুড়িরচর পয়েন্টে দুপুরে জাল ফেলেন। বিকেলে জাল টানার পর ছোট-বড় আরও কয়েকটি ইলিশের সঙ্গে ওঠে এই রাজা ইলিশটি। গতকাল সন্ধ্যায় মাছটি লঞ্চঘাটে ওঠানো হলে ক্রেতার পাশাপাশি উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় করেন। কারণ এত বড় ইলিশ সহজে পাওয়া যায় না বলেই মানুষের এত আগ্রহ দেখার।
মাছ ব্যবসায়ী সুজন জানান, ‘আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশটির দাম পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এই দামে বিক্রি করতে পারলে জেলের দাম পরিশোধের পর সামান্য কিছু লাভ থাকবে।’
স্থানীয় লঞ্চঘাটের জেলে মো. জলিল গাজী, মোশারফ ফকির, লিটন সওদাগর বলেন, পায়রা বুড়িশ্বর নদে একসময় প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যেত। পাঁচ ছয় বছর আগেও জেলেদের জালে প্রায়ই দুই কেজি, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ত। কিন্তু এখন আর সেই ইলিশের দেখা মেলে না।’
জানা যায়, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অসংখ্য ডুবোচর পড়েছে। এ কারণে সাগর থেকে উঠে আসা ইলিশের গতিপথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ইলিশশূন্য হয়ে পড়েছে পায়রা। বঙ্গোপসাগরের ডুবোচর অপসারণ করা হলে আবার ইলিশের প্রাচুর্য ফিরে আসবে পায়রা বুড়িশ্বর নদীতে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান, ‘৬৫ দিনের সাগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়েছে। তাই অধিকাংশ ইলিশের আকার, আকৃতি ও ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে।’
মন্তব্য করুন