লালমনিরহাটের তিস্তা নদী দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভেসে আসা অজ্ঞাত ৫টি ভারতীয় লাশ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে একটি এবং শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মোগলহাট সীমান্ত দিয়ে দুটি, তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে দুটি লাশ হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্নার তিস্তা চরের ধানক্ষেতে অজ্ঞাত (৩৫) এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় (৪০) একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ হতে ১টি অজ্ঞাত মহিলার (৫০) এবং ৫ অক্টোবর রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার থেকে একটি যুবকের (৪০) লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার থেকে একজনের অজ্ঞাত (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ্ আলম বলেন, রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। পরে পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা থানা পুলিশ লাশটি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধ বিএসএফ কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, তিস্তার (৬১ বিজিবি) বুড়িমারি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত মেইন পিলার ৮৪২/১এক্স আইসিপি বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে দেশের কোম্পানি কমান্ডারের উপস্থিতিতে ভারতীয় একটি নাগরিকের লাশ হস্তান্তর হয়। অপরদিকে বিএসএফ পক্ষে নেতৃত্ব দেন চ্যাংড়াবান্ধ বিডিও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনীল সমান্ত ও মেখলিগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার বারটু লাল মিনা।
এরপর হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ্ আলম ও পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অজ্ঞাত ওই লাশ মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার কাছে হস্তান্তর করেন।
বুড়িমারি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার হাফিজুর রহমান বলেন, তিস্তা নদীতে ভাসতে ভাসতে লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে এসেছে। এ অবস্থায় ভারতের বিএসএফ থেকে বিজিবিকে জানানো হয় লাশটি ভারতীয় নাগরিক। তারা লাশ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান। তবে লাশের পরিচয় জানা যায়নি।