বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাস্তার পাশ থেকে অবৈধভাবে সরকারি নলকূপ তুলে নিয়ে নিজের বাড়িতে প্রতিস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম নামে এক পল্লিচিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শফিকুল ইসলাম উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মুজা মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) অর্থায়নে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে পাকা রাস্তার মোড়ে একটি নলকূপ স্থাপন করা হয়। নলকূপটির গোড়া পাকা করা ছিল। রাস্তার পাশে ওই নলকূপ থেকে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানি পান করেছেন। সোমবার (২ অক্টোবর) সকালের দিকে শফিকুল ইসলাম মিন্টু রাস্তার পাশ থেকে সরকারি ওই নলকূপের গোড়া ভেঙে ইট, নলকূপের মাথা ও পাইপ তুলে নিয়ে নিজের নির্মাণাধীন বাড়িতে প্রতিস্থাপন করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার পাশে সরকারি ওই নলকূপ থেকে পানি পান করা হয়েছে। কিন্তু নলকূপটি তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লিচিকিৎসক শফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, নলকূপটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পথচারীদের সমস্যা ও ফাঁকা রাস্তায় রাতের বেলা নলকূপটি চুরি হওয়ার আশংকা ছিল। এ কারণে রাস্তার পাশ থেকে নলকূপটি তুলে নিয়ে নিজের জায়গায় প্রতিস্থাপন করেছি। তবে এ কাজের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অনুমতি না নিয়ে নলকূপটি স্থানান্তর করা ঠিক হয়নি। তাকে আগের জায়গায় নলকূপটি স্থাপন করে দিতে বলা হয়েছে। পুনঃস্থাপন করে না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন