প্রেমিকাকে বিয়ের দাবিতে স্ট্যাম্পে সুইসাইড নোট লিখে থানায় হাজির হয়েছেন এক কিশোর। নোটে আত্মহত্যার জন্য পৃথিবীর কেউ দায়ী নয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, তার মৃত্যুর পর পরিবার যাতে আইনি জটিলতায় না পড়ে সেই কথাও লেখা আছে। ওই যুবক জানিয়েছেন, প্রেমিকাকে বিয়ে করা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণেই তিনি এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নোমান ছিদ্দিক। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে তার সুইসাইড নোট জমা দিতে আসে ওই কিশোর। পরে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে বুঝিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেওয়া ওই কিশোরের নাম মো. শিমুল হাসান (১৮)। তার বাড়ি আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামে। তার বাবার নাম আয়নাল হক। সে শিমুলিয়ার আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের একজন শিক্ষার্থী।
সুইসাইড নোটে ওই যুবক লেখেন, ‘আমি মো. শিমুল হাসান বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বয়স ১৮। অতএব, আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি বুঝতে শিখেছি। আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করে এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষতি হয় বা আমি মারা যাই এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমি নিজেই দায়ী। আমার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আইন যাতে আমার পরিবার বা অন্য কারও ওপর কোনো প্রকার হয়রানি করতে না পারে।'
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নোমান ছিদ্দিক বলেন, গতকাল রাতে একটি স্ট্যাম্পে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সঙ্গে কথা বলি। একপর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার বাড়িতে পরিবারের কাছে নিয়ে যাই এবং তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।
মন্তব্য করুন