বেঁচে আছেন পদ্মা সেতু থেকে লাফ দেওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শরিফুল ইসলাম (২৯)। ১৯ জুন রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উল্টোপথে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠেছিলেন রিকশাচালক শরীফুল ইসলাম। পরে সেতুর নিরাপত্তাকর্মীদের ভয়ে রিকশা সেতুতে রেখেই নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
তিন মাস দশ দিন পর পদ্মা সেতু উত্তরা থানায় অটোরিকশা খুঁজে নিজে হাজির হন। রোববার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অটোরিকশা আমাদের জিম্মায় থাকায় থানায় হাজির হয় শরিফুল। পরে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যাচাইবাছাই করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
শরিফুল ইসলাম বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে।
বেঁচে ফেরা সেই অটোরিকশাচালক শরিফুল ইসলাম জানান সেই রাতের কথা। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। ওই রাতে ধানমন্ডি থেকে অটো চালিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেতুতে উঠি। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা আমাকে ধাওয়া করলে সেতুর ২১ নম্বর পিলারের কাছে এসে অটোরিকশাটি রেখে নদীতে ঝাঁপ দেই। রাতের অন্ধকারে কোনো কূল-কিনারা না পেয়ে পিলারের কাছে রাত কাটিয়েছি। সকাল হওয়ার সাথে সাথেই নদীর পাড়ে উঠে খুলনার গাড়িতে উঠে গ্রামের বাড়ি চলে আসি। পরে আমার বাবা সেখান থেকে আমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক দিন সার্জারি বিভাগের চিকিৎসা নেই। রোববার সকালে নিজের অটোরিকশা খুঁজতে পদ্মা সেতুর উত্তর থানায় আসি।
মন্তব্য করুন