নারী নিয়ে পুরাতন থানা ভবনে রাত্রিযাপন করার অভিযোগে এমরান হোসেন নামে কুমিল্লার লালমাই থানার এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গোপনীয় প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বরখাস্তের এই আদেশ দেন।
বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল এমরান হোসেন গত কয়েক মাস ধরে থানার মেস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও দুদিন ধরে পুলিশ কনস্টেবলের নারী কেলেঙ্কারি ও বরখাস্তের খবরটি এলাকায় জানাজানি হয়েছে।
পুলিশ সুপারের বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, লালমাই থানার ফতেহপুরস্থ পুরাতন ভবনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১ আগস্ট থেকে জামতলীস্থ নতুন ভাড়া ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু কনস্টেবল এমরান হোসেন গত ৩ ও ৪ আগস্ট পুরাতন থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থানীয় ফতেহপুর গ্রামের একজন নারী নিয়ে রাত্রিযাপন করেছেন। এতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি জনসম্মুখে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তার এমন কার্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য, নৈতিকস্খলন, অপেশাদারিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলা, বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থি, অসদাচরণের শামিল ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ কনস্টেবল এমরান হোসেন কুমিল্লা পুলিশ লাইনে সার্বক্ষণিক হাজির থাকবেন। প্রতিদিন রোলকল ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবেন। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলত্যাগ করতে পারবে না। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলসের ৭১ বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
লালমাই থানার ওসি মো. হানিফ সরকার বলেন, বরখাস্ত নয়, কনস্টেবল এমরান হোসেনকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে নিয়মিত বদলি করা হয়েছে। নারীর সাথে রাত্রিযাপনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি এ কে এম এমরানুল হক মারুফ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়ে কনস্টেবল এমরান হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন