আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি এবার নৌকা চাইব। কারণ আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বানিয়েছেন সারা বাংলাদেশে যুবলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য। আমিও শেখ হাসিনার অধীনের নেতা কাজী জাফরউল্লাহ সাহেবও শেখ হাসিনার অধীনে নেতা।’
তিনি বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহ যদি কোনো ষড়যন্ত্র না করে তাহলে আমি নৌকা পাব। আর যদি কোনো ষড়যন্ত্র করেন তাহলে আপনারা ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রসনের জনগণ যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্তই আমার জীবন বাজী রেখে তাই আমি মেনে নিব।’
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নিক্সন চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা কী চান।’ তার উত্তরে জনসভার জনসাধারণ হাত উঁচু করে সমর্থন জানিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, আপনি যে মার্কাই নিয়ে আসবেন, সেই মার্কায়ই নির্বাচন করব।
কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরের সভাপতিত্বে নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফরউল্লার সমালোচনা করে বলেন, কাজী সাহেব আপনি শাহাদাতকে গালাগাল করেন, আমাকে গালাগাল করেন, আমি নাকি ১১শ’ বিঘা সম্পত্তি দখল করে নিয়েছি অথচ আমি যে চরে থাকি সেই চরেই নাই ১১শ’ বিঘা জমি। মিথ্যা কথা ছাড়েন।তিনি বলেন, শাহাদাত ছাত্র রাজনীতি করেছে, শেখ হাসিনার জন্য জেল খেটেছেন। রাজনীতি শিখতে হলে আপনার শাহাদাতের পা ধুয়ে পানি খান তাহলে রাজনীতি শিখতে পারবেন। কারণ শাহাদাত উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ৯ উপজেলার জনপ্রতিনিধি। আমার দাদা বাদশা খালাসী ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তারপরে আর জেলা পরিষদ আসে নাই। তারপরেই শাহাদাত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি এই মাটির গর্ব। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। আপনি যতই গালাগাল করেন, আল্লাহ যদি সম্মান দেন তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবে না।
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন