নরসিংদীর রায়পুরায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসাপড়ুয়া সাত বছরের এক শিশুছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। রায়পুরা উপজেলার উত্তরবাখরনগর ইউনিয়নের বড়চর (পূর্বপাড়া) গ্রামের নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুল হান্নান।
এদিকে মাদ্রাসা কমিটি, কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রের মামা বলেন, আমার ভাগিনাকে কোরআনে হাফেজ করার উদ্দেশ্যে গত বছর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি করান তার মা। মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে লেখাপড়া করত সে। গত রোববার রাতে এই নাবালক শিক্ষার্থীকে আব্দুল হান্নান তার নিজ বিছানায় টেনে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এ সময় মাদ্রাসা ও এতিমখানার কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর এ ঘটনা অন্য কাউকে না জানাতে হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনার ব্যাপারে মাদ্রাসা কমিটিকে জানানো হলে তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসাও করার চেষ্টা করা হয়। ছাত্রের অভিভাবকরা মীমাংসাতে রাজি না হলে মাদ্রাসা শিক্ষক পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মাওলানা রাসেল মিয়া বলেন, ঘটনার পর শিক্ষক আব্দুল হান্নান প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে ছাত্রদের চাপের মুখে স্বীকার করে নেন।
এ বিষয়ে উত্তরবাখরনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিউল্লাহ হাবীব বলেন, বলাৎকারের ঘটনা সত্য এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে শুনেছি।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) অনির্বাণ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রায়পুরা থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়পুরা থানার পরিদর্শক আজিজুর রহমান।
মন্তব্য করুন