কিশোরগঞ্জে রাতের আঁধারে মাছের ফিসারিতে বিষ প্রয়োগে ১০ লাখের অধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের চারুয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মরে ভেসে ওঠে ফিসারির ৩০ হাজার মাছ।
যারা লিজ নিয়েছেন তারা হলেন সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের চারুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে বাক্কার মিয়া, আব্দুল গফুরের ছেলে মুর্শিদ আলী ও মুর্শিদ আলীর ছেলে আরজু মিয়া ।
ফিসারির মালিক আরজু মিয়া জানান, ২০১৫ সালে ৪৪ বিঘা জমি ১০ বছরের জন্য বছরপ্রতি ১২০ মণ ধানে লিজ হিসেবে নেওয়া হয়। সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের চারুয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রাশিদের মেয়ে শারমিন ও ছেলে শাহীনের কাছ থেকে এ জমি লিজ নেওয়া হয়।
পরে ৮ বছর যাওয়ার পরে আব্দুর রাশিদের বড় ছেলে বিল্লাল মিয়া প্রবাস থেকে দেশে ফিরে আমাদের জমির লিজ বাতিল করতে বলেন। যেহেতু দশ বছর শেষ হয়নি তাই আমরা লিজ বাতিল করিনি। এর জের ধরে আমাদের সঙ্গে বিল্লালের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আমাদের ধারণা ওই শত্রুতার জেরেই বিল্লাল মিয়া আমাদের ফিসারিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে।
ফিসারি মালিক মুর্শিদ আলী জানান, আমরা নিয়মিতই লিজের টাকা পরিশোধ করে আসছি। আজকে সকালে হঠাৎ খবর আসে ফিসারিতে মাছ মরে ভেসে ওঠেছে। খবর পেয়ে এসে দেখি আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। এই ফিসারিতে ৩০ হাজার মাছ ছিল যার বাজারমূল্য ১০ লাখের অধিক টাকা। আমরা বিল্লালের বিচার চাই।
অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া জানান, আমার সঙ্গে তাদের অন্য বিষয়ে বিরোধ থাকায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া রয়েছে। মাছ মারার বিষয়টিতে আমি জড়িত নয়। পূর্ব শত্রুতার কারণেই আমাকে দোষারূপ করা হচ্ছে।
চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাহার আলী জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন