শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১২ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন মেহনাজের

১২ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন মেহনাজের। ছবি : কালবেলা
১২ বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন মেহনাজের। ছবি : কালবেলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙা ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বাবা-মা হারা মেহনাজকে। উপজেলার ব্রিজপাড় এলাকার প্রয়াত নুর মোস্তফা ও হাওয়া বেগম দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট মেহনাজ। তার বর্তমান অবস্থার পেছনে দায়ী পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা আর উন্নত চিকিৎসার অভাব। চা বিক্রেতা ও নৈশ প্রহরী ভাইয়ের নিজেদের সংসার চলে অভাব-অনটনে। তাই অর্থসংকটে বোনকে চিকিৎসা করাতে না পেরে দীর্ঘদিন ধরে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় শিকলবন্দি থাকায় তার পায়ে পচন ধরেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়া হলেও সেটা তার লালন পালন ও চিকিৎসার বিপরীতে একদম অপ্রতুল। সরকারের পাশাপাশি বৃত্তবানদের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চায় ভূমিহীন অবস্থায় সরকারি খাসজমিতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারটির।

মেহনাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি ছোট্ট টিনের অপরিচ্ছন্ন কক্ষে শিকলবন্দি অবস্থায় শুয়ে আছে মেহনাজ মিরা। ঘরের সামনে ভাত ছিটানো, যে কক্ষটিতে মেহনাজ থাকে সেটিও এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। দেখেই বোঝা যায় যে, এখানে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে বাস করে। যে বয়সে তার সংসার করার কথা সেখানে পায়ে শিকলবন্দি হয় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

তার বড় ভাই হাসান জানান, চিকিৎসার অভাবে ১২ বছর ধরে শিকলবন্দি অবস্থায় জীবন পার করছে আমার ছোট বোন। এক সময় তার পায়ে পোকা ধরেছিল। এখন পা পরিবর্তন করে শিকল অন্য পায়ে লাগিয়েছি। আমি সামান্য নৈশপ্রহরীর কাজ করি, আমার তিন সন্তান আছে তাই সবার খরচ চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে আমার বোনের চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহিদুল হক মনির বলেন, আমরা সমাজসেবার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি। তবে তার চিকিৎসার জন্য এই টাকা অপ্রতুল। সরকারের পাশাপাশি বৃত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন অনুপম ভট্টাচার্য জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা ছেড়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ সিমধারী, ফিরেছেন ৪৪ লাখ

এবার ভয়ংকর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি

রোজায় এবার বিদ্যুতের ঘাটতি হয়নি : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ

কোনো স্থানেই ময়লা পোড়ানো যাবে না : রিজওয়ানা হাসান 

ডাকাত ‘কালা সোনা’র হাত-কান বিছিন্ন করল প্রতিপক্ষ

বিচারিক সংস্কার এখন ‘সংস্কার’-এর প্রতীক : প্রধান বিচারপতি

সিরিয়ায় ইসরায়েলের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে যা বলল তুরস্ক

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে : জাতিসংঘ

চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না : আমিন

গ্রাস ম্যাট রপ্তানি শুরু করল আরএফএল

১০

সিআরবিতে রেলওয়ের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

১১

নববধূর সামনে চোরের হাতে প্রাণ গেল স্বামীর

১২

ধাওয়া খেয়ে পালালেন গরিবের টাকা খাওয়া ইউপি সদস্য

১৩

ভারতে মুসলিম স্বার্থবিরোধী ওয়াকফ বিল পাসের প্রতিবাদ জামায়াতের

১৪

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে মোদির আচরণ কেমন ছিল, জানালেন প্রেস সচিব

১৫

মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

১৬

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরব লীগের অবস্থান, মহাসচিবের বার্তা

১৭

নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পেলেন রিয়ালের চার ফুটবলার

১৮

পদ্মায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

১৯

নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু করছে টিকটক, পাওয়া যাবে যে সুবিধা

২০
X