টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মুনিয়া ইসলাম নামে এক প্রবাসী ফেরত স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ভূঞাপুর পৌর শহরের ঘাটান্দি গ্রামের গণেশ মোড় নামক এলাকায় জহুরুল ইসলামের পাঁচ তলার বাসার তিন তলায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুনিয়া ইসলাম (৩৫) পাশ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার নলিন বাজারের নুরল ইসলামের মেয়ে এবং তার স্বামী মোস্তাক আহমেদ একই উপজেলার বাগুয়াটা গ্রামের আজমত আলীর ছেলে।
তাদের দম্পতি জীবনে আল মাসুদ (১০) এবং নবীন (৪) বছরের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা গণেশ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকত। এ ঘটনায় আল মাসুদ ও নবীনের প্রবাস ফেরত বাবা মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তাক আহমেদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রুনাই থেকে দেশে আসেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হত। দুই ছেলের একজন তার খালার বাসায় ছিল। স্বজনরা ধারনা করছে, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক রুমে ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে অন্য রুমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর মরদেহ বক্সখাটের নিচে রেখে শুক্রবার ভোরে বাসার মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়েছে মোস্তাক। সকালে ছেলে ঘুম থেকে ওঠে চিৎকার করলে বাসার দারোয়ান দরজা খুলে দেয়।
এদিকে মুনিয়ার খোঁজ না পেয়ে বাসার বিভিন্ন রুমে খোঁজাখুজি করতে থাকে স্বজনরা। একপর্যােয়ে ছোট ছেলের বক্সখাটের পাতাটন খুলে মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের ধারণা, মোস্তাক তার স্ত্রী মুনিয়া ইসলামকে গলা টিপে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
মুনিয়া ইসলামের ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে। পরে বড় বোন নাসরিন আক্তার কয়েকদিন আগে দুইজনকে বুঝিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছিল। এরপর আর কিছু জানি না। সন্ধ্যায় খবর পেলাম বোনের মরদেহ বাসার বক্সখাটের নিচে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওর স্বামী মোস্তাক পালিয়েছে। তার বিচার চাই।
ভূঞাপুর থানার ওসি আহসান উল্লাহ্ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মুনিয়া ইসলামের স্বামী মোস্তাক আহমেদ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন