সাতক্ষীরার তালায় দেড় লাখেরও বেশি টাকা মূল্যের একটি ষাঁড়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ষাঁড়ের মালিক তালা থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তালা সদরের খাজরা গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে বজলু বিশ্বাস স্থানীয় এনজিও ‘উন্নয়ন প্রচেষ্টা’ থেকে ৪০ হাজার টাকা ও নিজের সঞ্চিত টাকা দিয়ে ৬৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ষাঁড় ক্রয় করে। দেড় বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করছিলেন তিনি।
গত ৭-৮ দিন আগে ষাঁড়টির মেরুদন্ড ও পেছনের দিকে হামচু ঘা পরিলক্ষিত হয়। তিনি ষাঁড়টির চিকিৎসার জন্য স্থানীয় গ্রাম্য পশু চিকিৎসক পরিমলে শরণাপন্ন হন। পশু চিকিৎসক পরিমল ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ষাঁড়টি দেখে বলেন, ষাঁড়টির হামচু ঘা হয়েছে। তিনটি ইনজেকশন দিলে ষাঁড়টি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
অতঃপর পরিমল ষাঁড়টিকে ৩টি ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্য ষাঁড়টি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করতে থাকে। এক পর্যায়ে ষাঁড়টি মারা যায়। এ সময় পশু চিকিৎসক পরিমল ইনজেক্ট করা ঔষধের খালি বোতল সংগ্রহ করে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী বজলু বিশ্বাস জানান, আমি একজন দিনমজুর। অতিকষ্টে পরিবার নিয়ে দিনযাপন করে সঞ্চিত অর্থ ও এনজিও হতে লোন নিয়ে ষাঁড়টি ক্রয় করি। গত কুরবানী ঈদে ষাড়ঁটির মূল্য হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু পশুচিকিৎসক পরিমলের অপচিকিৎসায় ষাঁড়টি মারা গেল। এখন আমার পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এ ঘটনায় তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা নিয়ে তালা থানায় সালিশী বৈঠক হলে পশু চিকিৎসক পরিমল বলেন, ষাঁড়টি সুস্থ ও সবল ছিল। শুধুমাত্র শরীরের পিছনের দিকে হামচু ঘা পরিলক্ষিত হলে তিনটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে ষাঁড়টি মারা যায়। আমি কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে পারবো না।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বজলু বিশ্বাস মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
তালা থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন