নিজেদের বাসাবাড়িতেই মদ উৎপাদন করতেন পলাশ সিং (২০) ও বিজেট সিং (৪০) নামে দুই মাদক কারবারি। এরপর সেই মদ ছোট ছোট বোতলে ভরে ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা করে বিক্রি করতেন স্থানীয় যুবকদের মাঝে। দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে এমন ব্যবসা করে আসলেও ২ হাজার ৭৯ লিটার মদসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই দুই মাদক কারবারি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার আবাদপুর এলাকা থেকে পলাশ সিং ও বিজেট সিংকে গ্রেপ্তার করেন নওগাঁর ধামইরহাটে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তার পলাশ সিং আবাদপুর এলাকার সুরেশ সিংয়ের ছেলে এবং বিজেট সিং একই এলাকার বিজেন সিংয়ের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়, গ্রেপ্তার পলাশ ও বিজেট দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ধামইরহাট উপজেলার আবাদপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে চোলাই মদ উৎপাদন করে আসছিল। পরবর্তীতে সেগুলো গ্রামের যুবকদের নিকট ৫০ টাকা ও ১০০ টাকা করে ছোট ছোট বোতলে বিক্রয় করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমদাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ মজুদ অবস্থায় গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উক্ত পরিমাণ চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য চোলাই মদ অবৈধভাবে নিজ বসতবাড়িতে উৎপাদন করে সেগুলো সংরক্ষণ করতো বলে স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের নিকট খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছিল। মাদকসেবী ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী ধামইরহাট থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন