নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই গত দুই সপ্তাহ ধরে। বিল বকেয়া থাকায় গত ১৪/১৫ দিন পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয় নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষজন।
বর্তমান সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটাল করতে অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য চালু করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। আর ইউনিয়ন পরিষদের বেশিরভাগ কাজ এখন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই করা হয়। কিন্তু টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ডিজিটাল সেন্টারের ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার ও ক্যামেরাসহ সকল বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে থমকে রয়েছে ইউনিয়নের সেবা কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি সচিব মোবাশ্বের আলী তার রুমে বসে আছেন। ফ্যান না চলায় প্রচণ্ড গরমে ঘামছেন তিনিসহ আগত সেবা প্রার্থীরা।
মোবাশ্বের আলী দৈনিক কালবেলাকে বলেন, বকেয়া বিল পরিশোধ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিয়ে গেছেন। আশা করা হচ্ছে আগামী রোববারের মধ্যেই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হবে।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান দৈনিক কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের কাজের খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ সেবা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অফিসের কম্পিউটার, ডিজিটাল তথ্য সেবা, ফটোকপি মেশিনগুলো অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা মোমেনা বেগম দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ১০ দিন ধরে ঘুরেও একটি কম্পিউটারাইজড ‘জন্ম নিবন্ধন’ নিতে পারিনি। এভাবে প্রতিদিন অনেক লোক সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ময়নুল হককে বকেয়া বিলের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে দিয়েছি। তারা সংযোগ লাগিয়ে দিবে। পূর্ববর্তী ইউপি সচিবের কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল এখন তা সমাধান হয়েছে।
নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিমলা সাব-জোনাল ম্যানেজার (এজিএম) আব্দুল্লাহ-আল-কাফি দৈনিক কালবেলাকে জানান, টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নিকট ৩৮ হাজার ৫৬ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। যে কারণে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। টাকা জমা দেওয়া মাত্রই বিদ্যুৎ লাইন পুনঃসংযোগ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন