বিবাহ বিচ্ছেদের খবর শুনে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. সুমন নামে এক যুবক তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার (২২) ও শ্বশুর বাদশা মিয়াকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে আহত করে মেয়ে জামাই। এরপর থেকেই ওই যুবক পলাতক রয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টার দিকে উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদশা মিয়া চরকলাকোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর পূর্বে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জাহিদ নামের ৩ বছরের সন্তান রয়েছে। তারা চট্টগ্রামে চাকরির সুবাধে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। হঠাৎ করে স্ত্রীকে অমানষিক নির্যাতন (মারধর ও যৌন নিপীড়ন) শুরু করে সুমন। বিষয়টি জানতে পেরে রাশেদাকে তার বাবা-মা কৌশলে লক্ষ্মীপুরে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। একইসঙ্গে ওই ছেলের সঙ্গে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করে ফেলে। পরে তাকে এলাকায় ফের বিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে অনেকদিন হয়ে গেলেও সুমনের কাছে রাশেদা ফিরে না যাওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। এ সময় তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে ও তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দরজা বন্ধ করে ফেলে। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার বাবা ও মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সুমন। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ও মেয়ে মারা যান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন