তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তাহিরপুরে নদীপথে কয়লা-পাথর বিক্রয়, পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

সুনামগঞ্জের মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা
সুনামগঞ্জের মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে কয়লা ও চুনাপাথর বিক্রয় এবং পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন আমদানিকারকরা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি শুল্কস্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী দিয়ে তারা এসব পরিবহন করবেন না বলে জানান।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার এ তিনটি শুল্কস্টেশন দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের জরুরি সভায় ব্যবসায়ীরা এ সিদ্ধান্ত নেন।

আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তাহিরপুর সীমান্তের তিনটি শুল্কস্টেশনে মাইকিং করে এ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের প্রচার করা হয়।

আমদানকারক গ্রুপের নেতারা জানান, উপজেলার বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী শুল্কস্টেশনের প্রায় ৭০০ আমদানিকারক চুনাপাথর ও কয়লা যাদুকাটা ও পাটলাই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠান। পাটলাই নদীর ড্যাম্পের বাজার নৌকাঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা বাল্কহেডে মালামাল তোলার সময় বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় তহশিল অফিসের পক্ষ থেকে টোল আদায় করেন কিছু লোক।

তারা অভিযোগ করে বলেন, নৌকাঘাটে মালামাল লোড করার সময় নিয়ম অনুযায়ী নৌকা থেকে ৫০০ টাকা টোল আদায়ের কথা। কিন্তু সেখানে ‘খাস কালেকশনের’ নামে পাঁচ হাজার টাকাও আদায় করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএর নামে নৌকা প্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও আদায় করা হয়। এরপর আবার শ্রীপুর ও মন্দিহাতা এলাকাতেও চলন্ত অবস্থায় টোলের নামে চাঁদাবাজি হয়। আদায়কারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রশিদ দেন না। ব্যবসায়ীদের দাবি, এখানে নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয়। এ কারণে এ শুল্ক স্টেশনের ক্রেতা কমে যাচ্ছে। নৌযানও এই পথ দিয়ে কম আসছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মালামাল বিক্রয় ও বহন বন্ধ রাখবেন তারা।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সচিব রাজেশ তালুকদার বলেন, ‘আজ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কয়লা-পাথর বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ জন্য সমিতির পক্ষ থেকে তিন শুল্ক স্টেশনে মাইকিং করা হচ্ছে।’

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যখন যেমন ইচ্ছা টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে নৌ শ্রমিকদের মারধরও করা হয়। এসব অত্যাচারে শুল্কস্টেশনগুলোতে ক্রেতা কমছে। পরিবহনের নৌকাও এই পথে আসতে চায় না। উপায় না পেয়ে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রোববার সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভুয়া আসামি দাঁড় করিয়ে জামিন, ৪ জনের নামে মামলার নির্দেশ আদালতের

অত্যাধুনিক গোয়েন্দা জাহাজ নামাল ইরান

সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক / বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক গড়তে চায় পাকিস্তান

পরিযায়ী পাখির মাংস বিক্রি, বন আদালতে মামলা

দুদক সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন

‘পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীর শরীরের বিনিময়’

যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ হয়ে বাবার মৃত্যু

৪০০ কোটির সেই পিয়নের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফকে

‘৬ কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে’

১০

বাংলাদেশে হতে পারে কাবাডি বিশ্বকাপ

১১

ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহাকারীদের জন্য সুখবর

১২

সংসদ সচিবালয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

১৩

আ.লীগ নেতার যোগসাজশে পাহাড় কেটে সাবাড় করলেন বিএনপি নেতা

১৪

ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা

১৫

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক / বাংলাদেশের সব অংশীজনকে নিয়ে কাজ করবে চীন

১৬

বিপিএলে পারিশ্রমিক ইস্যুতে জরুরি মিটিংয়ে বসছে বিসিবি

১৭

বাতিল হতে পারে অস্কার অনুষ্ঠান!

১৮

আবাসন সুবিধাবঞ্চিত ছাত্রীদের ৩ হাজার করে টাকা দিবে ঢাবি

১৯

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আবারও কর্মবিরতি

২০
X