সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও মন্ত্রীর প্রয়াত পিতা করিম উদ্দিন আহমেদের তিন বছরের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় মন্ত্রীর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা বাসস্ট্যান্ড বাজারের আল আমিন টেলিকম নামের এক অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেসকোর অনুকূলে ওই বিল পরিশোধ করা হয়। মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র ও মন্ত্রীর প্রয়াত পিতার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের মোট এক লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে মন্ত্রীর ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ওরফে ভুট্টুর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এমনকি নেসকোর পক্ষ থেকে কোনো আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি এ ব্যাপারে।
গত বৃহস্পতিবার ‘৩৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল তাও শোধ করেন না মন্ত্রী!’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ প্রকাশ এবং কালবেলা অনলাইন নিউজ-এ ভিডিও নিউজ প্রকাশ হলে বৃহস্পতিবার রাতেই অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নেসকোর অনুকূলে মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র ও মন্ত্রীর প্রয়াত পিতার বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের মোট এক লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধ করেন। বিল পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং আল টেলিকমের মালিক মো. আল আমিন হোসেন।
এর আগে লালমনিরহাট (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) ২ আসনের এমপি, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাড়িতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল দেখানো হয় ৩৭ টাকা। চলতি বছরের (এপ্রিল থেকে জুলাই) চার মাস ধরে প্রতি মাসে ৩৭ টাকা করে বিল প্রস্তুত করে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।
এ ছাড়া মন্ত্রীর নামে একটি সেচ কানেকশনের প্রায় চার বছরে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় ৬১ হাজার ৩৪৪ টাকা। এদিকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পযর্ন্ত গড়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকার বিল দেখানো হলেও জুন ও জুলাই মাসে শূন্য বিল দেখানো হয়।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় ৩২ টাকা। কোনো মাসে ৭২ টাকা আবার কোনো মাসে ৫২ টাকা, ৬৫ টাকা, ১১১ টাকা বিল দেখানো হয়। এভাবে প্রায় চার বছরে মোট বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় মাত্র ১১ হাজার ৬২০ টাকা।
মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদ বাড়িতে ব্যবহৃত মাসিক বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় ৭২ টাকা, ১১১ টাকা, ১৫১ টাকা, ১৮৯ টাকা, ২২৯ টাকা ও ৫১২ টাকা। গত চার বছরে মোট বিল দেখানো হয় ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা।
এদিকে মন্ত্রীর ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর একটি বাণিজ্যিক কানেকশনে গত প্রায় চার বছরে বিল বকেয়া রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ১১৩ টাকা। তার নামে একটি সেচ পাম্পের কানেকশনে গত চার বছর ধরে বিল বকেয়া রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১১টাকা। তার বাবা মৃত করিম উদ্দিন আহমেদের নামে একটি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। এ সংযোগটি ব্যবহার করছেন তিনি। তবে এ সংযোগে মাসিক বিল দেখানো হয়েছে ৬৩ টাকা, ১৭২টাকা, ২৯৪ টাকা, ২৮০ টাকা। সর্বোচ্চ বিল ৪৯৬ টাকা দেখানো হয়েছে। ২০২২ সালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। এভাবে গত চার বছরে মোট বিল দেখানো হয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা। যা এখনো বকয়ো রয়েছে।
মন্তব্য করুন