তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘অনুপস্থিত’ থেকেও নিয়মিত বেতন পান শিক্ষক দম্পতি

চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষক দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোনো রকম ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। এজন্য তাদের সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

স্কুলে গিয়ে জানা যায়, ৮৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলপনা খাতুন (লাবণ্য) ও চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনির উদ্দিন নিজ নিজ স্কুলে অনুপস্থিত থেকে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় নিয়মিত বেতনভাতা তুলছেন। অভিযুক্ত দুই সহকারী শিক্ষক সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ওই দুই সহকারী শিক্ষক দম্পতি সুবিধামতো সময়ে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। কোনো রকম ছুটি ছাড়াই তারা মাসের পর মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন ৮৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায় সহকারী শিক্ষক আলপনা খাতুন (লাবণ্য) তিন দিন অনুপস্থিত। এসময় ওই শিক্ষিকার স্বামী চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনির উদ্দিন ওই স্কুলে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্ত্রী আলপনার পরিবর্তে স্বামী মনির উদ্দিন নিজ কর্মস্থল চরজহিরউদ্দিন না গিয়ে স্ত্রীর স্কুলে সময় দেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়ে অসুস্থ তাই আলপনা খাতুন আসতে পারেনি, তিন দিনের ছুটি নিয়েছে। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আমি দায়িত্ব পালন করছি।

প্রধান শিক্ষক আবু তাহের সহকারী শিক্ষিকা আলপনা খাতুনের লিখিত কোনো আবেদন দেখাতে পারেননি। অন্য স্কুলের শিক্ষক এই স্কুলে কেন এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ৮৪ নং দক্ষিণ পশ্চিম চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের দৈনিক কালবেলাকে বলেন, আলপনা খাতুন অসুস্থ, তাই তার স্বামী মনির উদ্দিন মাঝে মধ্যে আমার স্কুলে ক্লাস করান।

চরজহিরউদ্দিন মরিয়ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, সহকারী শিক্ষক মো. মনির উদ্দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকেন। চরের স্কুলের শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আ. মান্নান হাওলাদার বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা বা স্কুল পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নাই। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে

দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে ব্যবসায়ী লিপি ভরসা

ফ্রিতেই চলাচল করা যাচ্ছে মেট্রোরেলে

ক্লাবে তখন কনসার্ট চলছিল, মুহূর্তেই ৫৯ জনের মৃত্যু

২৭ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু

পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, ঢাকার কী পরিস্থিতি

যুক্তরাষ্ট্র-হুতি সংঘাত: কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে হামলা

১০

স্বামীকে আটকে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

১১

১৭ মার্চ : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

১২

২৭ মার্চের ট্রেনের টিকিট বিক্রি আজ

১৩

১৭ মার্চ : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

অবিশ্বাস্য কামব্যাকে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে বার্সার দুর্দান্ত জয়

১৫

দৌলতদিয়া নিষিদ্ধ পল্লির নেত্রী স্বামীসহ গ্রেপ্তার

১৬

এমআরটি পুলিশ সদস্যদের দ্বারা লাঞ্ছিত, কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

১৭

লিভারপুলকে হারিয়ে ৭০ বছরের অপেক্ষার অবসান নিউক্যাসলের

১৮

ইনকিলাব মঞ্চের নামে ফাঁদ পেতে ধরা কর কর্মকর্তা রেজাউল

১৯

ফুল কিনতে আসা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

২০
X