সিলেট নগরের মিরাবাজারের বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কম্প্রেসার কক্ষে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাম্পটির কর্মচারী, পথচারীসহ অন্তত ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে পাম্পের কম্প্রেসার রুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ইলিয়াস শরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মাসুদ রানা, উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) সাদেক কাওসার দস্তগীর ও কোতোয়ালি থানার ওসি আলী মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।
স্থানীয়রা জানান, নানা অনিয়মে চলছে মিরাবাজারের বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। পাম্প বন্ধ রাখার জন্য সরকারের নির্ধারিত সময় নির্ধারণ করে দিলেও এই পাম্প তা মানছে না। গোপনে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে তারা গাড়িতে নির্ধারিত সময়ে বাইরে গ্যাস সরবরাহ করে। এ সময় তারা পাম্পের সব লাইট বন্ধ করে রাখে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ইলিয়াস শরীফ বলেন, আজ সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের সময় বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কম্প্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কম্প্রেসারের একটি ভাল্ব একটু আলগা ছিল, এতে গ্যাসের প্রেশার বেড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম কাজ করছে, তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, পাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। প্রাথমিকভাবে গ্যাসের ভাল্বের দুর্বলতার কারণে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। তারা হলেন- রিপন (৩৪), লুৎফুর (৩২), রুমেল (২৮), মিনহাজ (২৭), বাদল দাস (৪২), রাসিমল (১৮), রুমান (২৩), তারেক (৩০) ও মুহিন (৪৫)।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি, গ্যাস ভাল্বের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
তবে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন