বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ডক্টরস ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতির মূত্রথলি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই বেসরকারি চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় প্রসূতি কুলসুম বেগমকে (২৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
ভুক্তভোগী কুলসুমের ভাই শিক্ষক রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনের প্রসব বেদনা শুরু হলে গত শনিবার তাকে গৌরনদীর বেসরকারি ডক্টরস ক্লিনিকে নেওয়া হয়। এ সময় সেখানকার চিকিৎসক বিপুল বিশ্বাস প্রসূতিকে জরুরিভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করার পরামর্শ দেন। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে ডা. বিপুল বিশ্বাস ও রাজেন্দ্র মজুমদার আমার বোনের অপারেশন করেন। পরবর্তীতে সে (কুলসুম) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, সিজার করার সময় চিকিৎসক ভুল অপারেশন করে আমার বোনের মূত্রথলি কেটে ফেলেছে। যা বরিশালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ধরা পড়ে। তবে মেয়ে নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
রোগীকে বরিশাল পাঠানোর কথা স্বীকার করে ডক্টরস্ ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন।
অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপুল বিশ্বাস বলেন, প্রস্রাবের থলি জরায়ুর মুখে ছিল যা আল্ট্রাসনোগ্রামে ধরা পরেনি। এজন্য সিজার করার পর রক্তপাত হয়েছে। সিজার করার আগে আল্ট্রাসনোগ্রামে বিষয়টি ধরা পড়লে রোগীকে আমরা সিজার করতাম না। রোগী বর্তমানে সুস্থ আছে।
অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন