দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ক্রেতা সংকটে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। এদিকে প্রচণ্ড গরমে গুদামগুলোতে থাকা পেঁয়াজে পচন ধরেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২ টাকা থেকে প্রকারভেদে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ভালো মানের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ভালো মানের ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকের গুদামে ভালোমানের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা এবং নিম্নমানের পেঁয়াজ ১২ থেকে প্রকারভেদে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলির গুদামে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরিফুল হোসেন বলেন, ‘বেশি দামের আশায় মজুত করে রাখায় এসব পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। পচা পেঁয়াজ ১২ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েও ক্রেতা পাচ্ছে না তারা। আমি কিছু কিনেছি। এসব পেঁয়াজ গরমে পচে যাচ্ছে। এগুলো বাসায় নিয়ে বাছাই করে বিক্রি করব।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ খানিকটা কমেছে। এতে তাদের দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৯ আগস্ট রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এ অবস্থায় ৪০ ভাগ শুল্ক দিয়েই আমদানি অব্যাহত রেখেছেন আমদানিকারকরা।
তবে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। একদিকে গরমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে কম দামে বিক্রি করতে না পারায় ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
আমদানিকৃত একটি ট্রাকে ৩৬ টন পেঁয়াজের মধ্যে ২০ টন ভালো পাওয়া যাচ্ছে। বাকি সব পচা। বাধ্য হয়ে ১০-২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি কমবেশি হচ্ছে। কোনোদিন বেশি ঢুকছে, আবার কোনোদিন কম আসছে। গত বৃহস্পতিবার ২২টি ট্রাকে ৬৪৫ টন, শনিবার ৩৮টি ট্রাকে ১ হাজার ১২১ টন আমদানি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববারও আমদানি অব্যাহত ছিল। কাস্টমের সব প্রকার কার্যক্রম শেষে দ্রুত পেঁয়াজ খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।’
মন্তব্য করুন